সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর: ব্যারাকপুরে (Barrackpore Incident) সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় আগেও গ্রেফতার হয়েছিল সফি খান। ছাড়া পেয়েই চলে গিয়েছিল ঝাড়খণ্ডে মামার বাড়িতে। তারপর মামাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যারাকপুর ও হাওড়ার একাধিক জায়গায় ডাকাতির ছক কষে। হাওড়ার সোনার দোকানে ডাকাতি বানচাল হলেও ব্যারাকপুরের ডাকাতি-খুনের ঘটনায় ধরা পড়ে যায় মামা-ভাগ্নে।                     


চুরির অভিযোগে আগেও গ্রেফতার সানি : ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীকে মৃত্যুপুরীতে বদলে দিয়ে মামার সঙ্গে ভিনরাজ্যে পালানোর ছক ছিল ভাগ্নের। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মামা জামশেদ আনসারি ও ভাগ্নে সফি খান ওরফে সানি- দু'জনেই এখন পুলিশের জালে।  পুলিশ সূত্রে খবর, সানি কামারহাটি এলাকার কুখ্য়াত দুষ্কৃতী।  বাবা নাসিম খানের হাত ধরেই অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হয় তার। গত বছর চুরির অভিযোগে গ্রেফতারও হয়।

গত বছর ৬ অক্টোবর, কামারহাটির বাসিন্দা সরকারি আধিকারিক শাহিদ আনসারি সপরিবারে বেড়াতে যান। সেই সময় তাঁর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। প্রায় ২২ লক্ষ টাকার সোনাদানা ও নগদ দেড়লক্ষ টাকা লুঠের অভিযোগে গ্রেফতার হয় সফি। ধরা পড়ার পর সফিকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সফির মা ওই সরকারি আধিকারিকে বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। সেই সূত্রেই, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে চুরি করে সফি। থানায় তার নামে অভিযোগ জানানোয়, সরকারি আধিকারিকের পরিবারকে হুমকিও দেয় সে।                     

কামারহাটির ঘটনায় গ্রেফতার হলেও পরে জামিন পেয়ে ঝাড়খণ্ডে মামা জামশেদের বাড়ি চলে যায়। সেখানেই মামার সঙ্গে ফের অপরাধে জড়ায় ওই দুষ্কৃতী। তারপরই ব্যারাকপুরের সোনার দোকানে ডাকাতি, খুন। ছেলেকে যখন বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বাবা, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নিশ্চিন্তে সোনার দোকানের সামনে রাখা মোটরবাইকে করে দুষ্কৃতীরা চলে যায় পাতুলিয়ার দিকে। শুধু তাই নয়, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গোঁফ দাড়িও কামিয়ে ফেলে সফি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের দাবি, মামা-ভাগ্নে মিলে ব্যারাকপুর ও হাওড়ার একাধিক জায়গায় ডাকাতির ছক কষে। কোথায় কোথায় ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল, ধৃতদের কাছ থেকে তা জানার চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন: Healthy Cooking Oils: সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চাইলে রান্নায় ব্যবহার করুন এই ৫টি 'হেলদি কুকিং অয়েল'