Healthy Cooking Oils: কীভাবে ওজন কমাবো (Weight Loss)? ডাক্তারবাবুর কাছে এই প্রশ্ন করলেই সবার আগে জবাব আসে তেল খাওয়া কমান। সাধারণ বাঙালি বাড়িতে রান্নার (Cooking Oils) ক্ষেত্রে মোটামুটি ভাবে সরষের তেল বা সাদা তেলই ব্যবহার হয়। আর রসে বশে বাঙালি পরিবার হলে খাবারে তেল একটু বেশিই থাকে। এই অতিরিক্ত তেলের পরিমাণ ছেঁটে ফেলার কথায় বলে থাকেন চিকিৎসকেরা। প্রতিদিনের রান্নার ক্ষেত্রে সরষের তেল এবং সাদা তেল বা রিফাইন্ড অয়েলের পরিবর্তে আর কী কী তেল ব্যবহার করতে পারেন সেটা একটু জেনে নেওয়া যাক। এইসব তেল আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী হবে। 


নীচের তালিকায় কিছু 'হেলদি কুকিং অয়েল' সম্পর্কে আলোচনা করা হল


অলিভ অয়েল- অনেকেই আজকাল রান্নার ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল বডি অয়েল ছাড়াও ভোজ্য তেল হিসেবেও অলিভ অয়েলের কদর রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আপনার হার্ট হেলথ অর্থাৎ হৃদযন্ত্রের জন্য এই অলিভ অয়েল খুবই ভাল। এই অলিভ অয়েলে রয়েছে ফটোকেমিক্যালস এবং ফেনলিক কম্পাউন্ড। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানও। তার ফলে অলিভ অয়েলে রান্না করা খাবার খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হবে না। হার্ট হেলথ অর্থাৎ হৃদযন্ত্র ভাল থাকবে। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা কমবে। 


অ্যাভোকাডো অয়েল- ফল হিসেবে অ্যাভোকাডো বেশ জনপ্রিয়। জলখাবারের টেবিলে অ্যাভোকাডো পেস্টের সঙ্গে টোস্ট খেতেও ভালবাসেন অনেকে। রান্নার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায় অ্যাভোকাডো অয়েল। মেটাবলিজম রেট বাড়াতে সাহায্য করে এই তেল। এছাড়াও কমায় রক্তচাপ। মানবদেহে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে অ্যাভোকাডো অয়েল। সর্বোপরি ভাল রাখে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য অর্থাৎ হার্ট হেলথ।


সানফ্লাওয়ার অয়েল- সূর্যমূখী ফুলের বীজ থেকে তৈরি হয় এই সানফ্লাওয়ার অয়েল। রান্নার কাছে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলের মধ্যে থাকে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা মানবদেহের ব্যাড কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সানফ্লাওয়ার অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে। ডিপ ফ্রাই করে যেসব খাবার তৈরি করা হয় তার জন্য সানফ্লাওয়ার অয়েল আদর্শ।


ফ্ল্যাক্সসিড অয়েল- পটাসিয়াম এবং ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে এই তেলের মধ্যে। এই উপকরণগুলির সাহায্যে ইনফ্লেমেশনের সমস্যা কমে এবং ভাল থাকে হার্ট হেলথ। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে এই তেল। সেই সঙ্গে দূর করে বদহজমের সমস্যা, বাড়ায় হজম শক্তি।


Sesame অয়েল বা তিল থেকে তৈরি তেল- রান্নার কাজে এই তেলও ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলের মধ্যে থাকে মোনো এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা কার্ডিওভাসকুল হেলথের উন্নতি করে। এছাড়াও এই তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় উপকরণ sesamol এবং sesaminol, যা বিভিন্ন রোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখে।


আরও পড়ুন- রোজ একই সময়ে মাথায় ব্যথা হয় ? কোন গুরুতর রোগের ইঙ্গিত ?