সমীরণ পাল, উত্তর চব্বিশ পরগনা : ব্যারাকপুর (Barrackpore )শ্যুটআউটকাণ্ডের ২ দিন পরও অধরা দুষ্কতীরা। শেষমেষ ওই হত্যাকারীদের ব্যবহার করা ২টি বাইককে চিহ্নিত করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা গিয়েছে দুই মোটরবাইককে। হাওড়া ব্রিজ থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে ডানলপের দিকে গিয়েছিল ২ মোটরবাইক।
২ মোটরবাইকে ২ জন ছিলেন। এই ২ মোটরবাইকে চড়েই কি এসেছিল দুষ্কৃতীরা? তাহলে বাকি ২ জন কি আলাদা করে দলে যোগ দিয়েছিল? ডাকাতির অছিলায় পরিকল্পিত খুন? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে হামলার ধরন। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই কি ডাকাতির নাটক? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, নেপথ্যে বহিরাগত ভাড়াটে খুনি? কোন পথে পালাল দুষ্কৃতীরা?
বুধবারমাত্র এক মিনিট সাঁইত্রিশ সেকেন্ডের অপারেশন! এক লহমায় শেষ ২৭ বছরের একটা তরতাজা প্রাণ! ব্য়ারাকপুরে ভরা বাজারের মধ্য়ে, ভরসন্ধেয় এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শিউরে উঠছেন সবাই।
ব্য়ারাকপুরে সোনার দোকানে ঢুকে, ব্য়বসায়ীর ছেলেকে গুলি করে খুনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা। আর এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন এলাকারই সাংসদ, তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংহ। তিনি বললেন, ' ব্যারাকপুরে জেল থেকে তোলাবাজি-চক্র চলছে। ব্যারাকপুর শ্যুটআউটকাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংহের। ব্যারাকপুরের সাংসদের অভিযোগ, জেল থেকে ফোন করে তোলাবাজি করা হচ্ছে। আগে ব্যারাকপুরে তোলাবাজি না থাকলেও ইদানিং তা বেড়ে গিয়েছে। অর্জুনের দাবি, পুলিশ তাঁর নিরাপত্তা তুলে নিয়ে ব্যারাকপুরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক। '
অন্যদিকে, ব্যারাকপুরে শ্যুটআউটকাণ্ডে নতুন থিওরি দিলেন সৌগত রায়। 'শিল্পাঞ্চলে কারখানা বন্ধ হলেই তরুণরা কর্মহীন হয়ে অপরাধের দিকে ধাবিত হয়। ব্যারাকপুর চটকল নির্ভর, কারখানা বন্ধ হলেই এসব হবে। অন্য জায়গায় তো এত অপরাধ হয় না। জুটমিলে উৎপাদন কমলেই এক শ্রেণির চাকরি যায়', দাবি দমদমের তৃণমূল সাংসদের।
ইতিহাসের শহর ব্য়ারাকপুর। সেই ব্য়ারাকপুরেই জনবহুল এলাকায় সোনার দোকানে শ্য়ুটআউট। মাত্র ২৭ বছর বয়সে শেষ হয়ে যায় তরতাজা এক প্রাণ। সাম্প্রতিককালে একাধিক দুষ্কতী তাণ্ডবের সাক্ষী থেকেছে ব্য়ারাকপুর শিল্পাঞ্চল। কখনও বিরিয়ানির দোকানে গুলি, কখনও কলেজ পড়ুয়া খুন, কখনও পাড়ার মধ্য়ে তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি, কখনও আবার বিটি রোডের ওপর বিজেপি নেতা খুন। কমিশনারেট তৈরির পরেও বন্ধ হচ্ছে না দুষ্কৃতী-রাজ!
আরও পড়ুন :