রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বারুইপুরের রাসমাঠ সংলগ্ন চক্রবর্তী পাড়ার পুকুরে জলে ডুবে মৃত্যু হল ২ কিশোরের। মর্মান্তিক এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া। স্থানীয় দুই কিশোর দেবাঞ্জন রক্ষিত ও শুভজ্যোতি বোস এই ঘটনায় মারা যায়। দেবাঞ্জন নবম শ্রেনীর ছাত্র ও শুভজ্যোতি দশম শ্রেনীতে পড়ে। দুজনেই স্কুল ছাত্র। তারা কেউই সাঁতার কাটতে জানত না। জলে নেমে মজা করতে গিয়ে দুজনেই ডুবে যায় বলে জানা গিয়েছে। আরও একজন শৌভিক হালদার জলে নামলেও সে উঠে আসে। তাদেরই এক বন্ধু শিবম নস্কর বিষয়টি ফোনে অন্যান্যদের জানায়। সে পাড়ে বসে মোবাইলে গেম খেলছিল। শরীর খারাপ থাকায় সে পুকুরে নামেনি। স্থানীয় যুবকরা এসে তাদের উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে নিয়ে এলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


কিছুদিন আগে, তোর্সা নদীতে ভেসে যাওয়া দুজন শিশুকন‍্যার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। ভুটান পাহাড় ও দার্জিলিঙের পার্বত্য এলাকায় অতিবৃষ্টির জেরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, কালজানি নদী। প্রতিটি নদীতে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জল। এমন সময়ে বুধবার জয়ঁগা ছোট মেচিয়াবস্তি এলাকার বাসিন্দা সফিকুল আনসারির দুই শিশুকন‍্যা তোর্সা নদীতে ভেসে যায়।


শিশুদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকাল দশটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল দুই বোন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আচমকাই পাড় ভেঙে যাওয়ায় তীব্র স্রোতে ভেসে যায় ৮ বছরের মণীষা খাতুন ও ১০ বছরের রূপসা খাতুন। 


ভুটান সীমান্তবর্তী জয়গাঁর ছোট মেচিয়াবস্তির দুই বোনের খোঁজে নামানো হয় স্পিডবোট।  প্রবল খরস্রোতা তোর্সায় তল্লাশিতে নামেন ডুবুরিরা। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা জয়ঁগা তোর্সা নদীতে স্পিড বোট নামিয়ে তল্লাশি চালায়। কিন্ত রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও তাদের সন্ধান মিলেনি। 


আরও পড়ুন: আজ থেকে ৩ দিন বন্ধ রাজপুর-সোনারপুর পুর-এলাকার বাজার, দোকান