সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, বারুইপুর: রাজ্যে ফিরল অমরনাথ-বিপর্যয়ে (Amarnath Disaster) মৃত বর্ষা মুহুরির কফিনবন্দি দেহ। গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ দিল্লি (Delhi) থেকে ইন্ডিগোর বিমানে কলকাতায় পৌঁছয় মুহুরি পরিবার। পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় হুইল চেয়ারে বসে বের হন বর্ষার মা নিবেদিতা মুহুরি। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। পায়ে চোট রয়েছে বর্ষার মামা সুব্রত চৌধুরীরও। এর পর রাত ৩টে নাগাদ বিমানবন্দর থেকে শববাহী গাড়ি রওনা দেয় বারুইপুরে (Baruipur) চক্রবর্তী পাড়ার উদ্দেশে।


ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বাড়িতে পৌঁছয় বর্ষার দেহ। হাজির ছিলেন আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা। এর পর বারুইপুর শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। গোটা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন বারুইপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস।


মা ও মামার সঙ্গে গেছিলেন অমরনাথে (Amarnath)। কিন্তু অতি বর্ষা কেড়ে নিল বারুইপুরের (Baruipur) বর্ষা মুহুরিকে।পরিবার সূত্রে দাবি, মা-কে বাঁচাতেই গিয়েই জলের তোড়ে ভেসে যান তরুণী। অমরনাথে আটকে রয়েছেন আরও অনেক বাঙালি। 


মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত অমরনাথ! আটকে রয়েছেন এ রাজ্যের বহু পুণ্যার্থী। তার মধ্যেই এল দুঃসংবাদ! অমরনাথে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বাসিন্দা বর্ষা মুহুরির। প্রকৃতির আকর্ষণে এবং পুণ্যলাভের আশায়, মা ও মামার সঙ্গে অমরনাথে গিয়েছিলেন বর্ষা। কিন্তু কে জানত, প্রকৃতিই এভাবে তাঁকে কেড়ে নেবে!


MSc পাস বর্ষা, PHD-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পয়লা জুলাই আরও দুই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অমরনাথের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তারা। ৫ তারিখ পহেলগাঁওয়ে পৌঁছন। তারপর সেখান থেকে রওনা দেন অমরনাথের উদ্দেশে। ১৬ জুলাই ফেরার কথা ছিল বর্ষাদের। কিন্তু তার মধ্যেই ঘটে গেল অঘটন!


আরও পড়ুন: Amarnath Cloudburst : মায়ের দিকেই ধেয়ে আসছিল পাথর, বাঁচাতে গিয়ে কীভাবে বলি বর্ষা ?


মা-কে বাঁচাতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে যান তরুণী। পরে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। অন্যদিকে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার ভোজেরহাট এলাকার, ৭৮ জন বাসিন্দা দোসরা জুলাই অমরনাথের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। আগামী মঙ্গলবার ফেরার কথা ছিল। কিন্তু প্রত্যেকেই আটকে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন পুলিশকর্মী প্রবীর কর্মকার।