হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিজেপি করায় বাইক কেড়ে নিয়ে, বাজারের মধ্যে দাঁড় করিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ঝড়খালি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত বিজেপির ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি অমল মণ্ডল। অভিযোগ উঠেছে যে, একুশের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে সপরিবারে এলাকা ছাড়া ছিলেন বিজেপি নেতা। পুলিশের আশ্বাসে ঘরে ফিরলেও, বারবার তৃণমূলের কর্মীদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁকে। গতকাল বাজারের মধ্যে বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্ত নেতাকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মারধরের কথা স্বীকার করলেও, ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।


কী ঘটেছে?


জানা গিয়েছে, বুধবার দিন এই ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি এবং আরও এক ব্যক্তি বাজারে গিয়েছিলেন বাইক চালিয়ে। সেই সময় তিনি যখন চা খাচ্ছিলেন, কখনই অমল মণ্ডলের উপর আচমকা হামলা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির স্ত্রীর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা এই ঘটনায় জড়িয়ে রয়েছেন বলে। ঝাড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান দিলীপ প্রধানেরও এই ঘটনায় মদত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, কথা বলতে বলতেই আচমকা আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে বাইকে কেড়ে নেওয়া হয়। কেন বাইক কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, সেই কথা জানতে চাইতেই অমল মণ্ডলকে বেধড়ক মারধর করা হয়। শুধু বাইক কেড়ে নেওয়া বা মারধরের ঘটনাই ঘটেনি। অমল মণ্ডলের স্ত্রী অভিযোগ তুলেছেন যে, আক্রান্ত ব্যক্তি বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার পর তাঁকে প্রথমে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়। গোটা ঘটনাতেই সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছেন আক্রান্তর স্ত্রী। 


আরও পড়ুন - Shamik Bhattacharya: নিশীথ প্রামাণিকের দাড়ি-গোঁফ উপড়ে ফেলার ফরমান উদয়ন গুহর, পাল্টা কটাক্ষ শমীকের


আক্রান্ত ব্যক্তির এক আত্মীয় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানাচ্ছেন যে, 'আমরা বিজেপি করেছিলেন। এরপর গণনা হয়। তারপর থেকেই আমাদের উপর অত্যাচার শুরু হল। এর ফলে আমরা ঘর ছাড়তে বাধ্য হলাম। বাড়ি ফিরতেই ফের তৃণমূলের অত্যাচার শুরু হয়। আমাদের জমি জমা সবকিছু নিয়ে নিয়েছে। সবকিছু লুঠ করে নিয়েছে। আর যেই বাড়ি ফিরেছি, ফের মারধর শুরু করেছে। '