নয়াদিল্লি: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে (UEFA Champions League) স্পেনের দুই বড় দলের ভরাডুবি। ফের বার্সেলোনার (Barcelona) পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াল বায়ার্ন মিউনিখ। ৩-০ ব্যবধানে হেরে নাগাড়ে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গেল বার্সা। আরেক জার্মান দল বায়ার লেভারকুসেনের বিরুদ্ধে ড্র করায় ছিটকে গেল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও। অপরদিকে, জয় পেয়ে চ্য়াম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬ নিজেদের জায়গা পাকা করল লিভারপুল (Liverpool), ইন্টার মিলান ও পোর্তো।
ছিটকে গেল বার্সা
বার্সার পরের রাউন্ডে পৌঁছনোর দৌড়ে টিকে থাকার জন্য বায়ার্নকে যে কোনও মূল্যেই হারাতে তো হতই, পাশাপাশি ভিক্টোরিয়া প্লাজেনের বিরুদ্ধে ইন্টার মিলান যাতে তিন পয়েন্ট না পায়, সেটাও জরুরি ছিল। দুইটির কোনওটাই হল না। মাত্র ১০ মিনিটেই সাদিও মানের গোলে পিছিয়ে পড়ে বার্সা। প্রথমার্ধের ৩১ মিনিটে এরিক চুউপো-মোটিং বায়ার্নের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। বাভেরিয়ার ক্লাবের হয়ে এ মরসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছয় নম্বর গোলটি করেন চুউপো-মোটিং। বার্সার রক্ষণ নিয়ে এই গোলটি ফের একবার বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দেয়। বেঞ্জামিন পাভার্ড বায়ার্নের হয়ে ম্যাচের শেষ গোলটি করেন। নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে এদিন গোলের দেখা পাননি বার্সার তারকা ফরোয়ার্ড রবার্ট লেওয়ানডস্কি।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও লেভারকুসেনের ম্যাচে নাটকের অভাব ছিল না। ঘরের মাঠে অ্যাটলেটিকোকে হারানো সবসময়ই বড় চ্যালেঞ্জ। তবে প্রাক্তন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা জাভি আলন্সোর ম্যানেজ করা লেভারকুসেনের হয়ে দলকে এগিয়ে দেন ফরাসি ফরোয়ার্ড মুসা ডিয়াবি। ইয়ানিক ক্যারাস্কো ২২ মিনিটে অ্যাটলেটিকোর হয়ে প্রথমবার সমতা ফেরান। তবে তার সাত মিনিট পরেই ক্যালাম হাডসন-ওডোই ফের একবার লেভারকুসেনকে এগিয়ে দেন। রড্রিগো ডি পল দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাটলেটিকোর হয়ে স্কোর ২-২ করেন। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে অ্যাটলেটিকো পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচ জয়ের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল। তবে ক্যারাস্কোর শট লেভারকুসেন গোলরক্ষক লুকাস রিডেস্কি বাঁচিয়ে দেন। সাউল নিগেজ ফিরতি বল বারে মারেন। ফলে ম্যাচ সমতায় শেষ হয়।
জয় লিভারপুলের
আয়াক্সের বিরুদ্ধে ড্র করলেই পরের পর্বে পৌঁছে যেত লিভারপুল। তবে আমস্টারডাম থেকে তিন গোল করে তিন পয়েন্ট জিতে নেয় য়ুরগেন ক্লপের দল। রেডসরা প্রথমার্ধে শুরুটা একেবারেই ভাল না করলেও, আয়াক্সের হয়ে ডুসান ট্যাডিচ, স্টিভেন বার্গহাউসরা তাঁদের পাওয়া সুযোগ থেকে গোল করতে পারেননি। মহম্মদ সালাহ ম্যাচের গতির বিরুদ্ধে লিভারপুলকে প্রথমার্ধে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ডারউইন নুনিয়েজ ও হার্ভে এলিয়ট পর পর দুই গোল করে লিভারপুলের জয় সুনিশ্চিত করেন। ইন্টারের ম্যাচে রোমেলু লুকাকু, হেনরিখ মিখিতারিয়ানের পাশাপাশি এডিন জেকো জোড়া গোল করে দলকে ৪-০ জয় এনে দেন।
টটেনহ্যাম হটস্পার ও স্পোর্টং লিসবন ১-১ ম্যাচ নিজেদের ম্যাচ ড্র করেন। এডুয়ার্ডের গোলে পিছিয়ে পড়া স্পার্সকে এদিন ৮০ মিনিটে গোল করে রড্রিগো বেন্টানঙ্কুর ম্যাচে সমতায় ফেরান। একেবারে ইনজুরি টাইমে হ্যারি কেন বল জালে জড়ানোয় স্পার্স সমর্থকরা ভেবেছিলেন তাঁরা পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছেই গিয়েছেন। তবে ভিএআর সেই গোল বাতিল করে। ফলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ডে পর্যন্ত তাদের যোগ্যতা অর্জনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ক্লাব ব্রুজের বিরুদ্ধে ৪-০ জেতে পোর্তো। এ মরসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ পোর্তোই প্রথম দল যারা সিমোন মিনোলেকে ব্রুজের গোলে পরাস্ত করল। রেঞ্জার্সকে ৩-০ গোলে হারায় নাপোলি।
আরও পড়ুন: সমর্থকদের হতাশ করব না, ডার্বি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সবুজ-মেরুন শিবিরের তারকা বুমোস