বিশ্বজিৎ দাস, খড়গপুর: বাঁকুড়া, মেদিনীপুরের পর এবার খড়গপুর (Kharagpur)। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে নাম লেখালেন ২০০ নেতা কর্মী। দুর্নীতির কারণেই শাসকদল ছাড়ছেন নেতা, কর্মীরা- দাবি কংগ্রেসের। দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে, কোচবিহারের সিতাইয়ে বিভিন্ন দল থেকে শো তিনেক কর্মী যোগদান করলেন তৃণমূলে।
তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে: কর্ণাটকে বিপুল জয় পর থেকেই বঙ্গ কংগ্রেসে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। কর্ণাটকে জয়ের পরদিনই বাঁকুড়ায় তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন অনেকে। একই ছবি দেখা যায় মেদিনীপুরে। আর এবার মঙ্গলবার সেই ছবি দেখা গেল খড়গপুরে। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রায় ২০০ জন তৃণমূল নেতা ও কর্মী। তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দিলেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সমীর রায়। তিনি বলেন, “প্রায় দুশো জন আজ তৃণমূল ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিলেন। এরা তৃণমূলে ছিলেন দীর্ঘদিন। গোটা তৃণমূল দলটা শুধু আজকে চুরির জন্য তৈরি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তারা কংগ্রেসে আসতে চাইছে।’’
অন্যদিকে, কোচবিহারের সিতাইয়ে বিরোধী দলের মধ্যে ফাটল ধরাল তৃণমূল। মঙ্গলবার তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়ার উপস্থিতিতে বিজেপি ও সিপিএম থেকে দল থেকে কয়েকশো কর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে দলবদলের স্রোত দেখা গিয়েছিল। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই ছবি অব্যাহত।
কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয়ের ঢেউ দিনকয়েক আগে আছড়ে পড়ল বাঁকুড়াতেও। কর্ণাটকে ফল ঘোষণার পরই, গত রবিবার ছাতনায় তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন অঞ্চল সহ সভাপতি। সঙ্গে কংগ্রেসে নাম লেখালেন তৃণমূলের ৫০ জন নেতা-কর্মী। পরিবার নিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করলেন তাঁরা। অন্যদিকে, ছাতনার তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিল ৭-৮ টি পরিবার। এদিকে, টাকা দিয়ে যোগদান করানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ২০২১-এ ছাতনা বিধানসভার দখল নিয়েছে বিজেপি। তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েত দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের দখলে। ১৮ মে এই ছাতনা ব্লকেই তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান ঘাসফুল শিবিরে অস্বস্তি বাড়াল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: Causes of Sweating: গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘামতে শুরু করি কেন, এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ কী ?