কলকাতা : গরমে পুড়ছে উত্তর ভারত।  কলকাতাতেও গরমের কষ্ট চরমে। এসি বা কুলারের ব্যবহারও বেড়েছে ভীষণভাবে।  পাখার হাওয়া যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে না। কুলকুলিয়ে বইছে ঘাম। বেশি ঘাম হয় কেন জানেন? বিজ্ঞান বলছে, ঘাম হওয়া ভাল কিন্তু বেশি ঘাম হওয়া নিঃসন্দেহে কষ্টকর। এভাবে কেন ঘাম হয় বলুন তো ? ঘামের সঙ্গে শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। আর ঘামের সঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত জল ও নুনও বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের তাপমাত্রা নেমে যায়। এতে শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় থাকে। 


কখন ঘাম হয় ?


ঘাম একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। সব মানুষই ঘামেন। আর এই ঘাম হয় বলেই মানুষ সুস্থ থাকে। গ্রীষ্মে   যখন আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে, তখন তা স্বাভাবিক রাখতে শরীরে উপস্থিত ঘামের গ্রন্থিগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং তাপমাত্রার ভারসাম্য রাখতে তরল বের হয়, সেটাই ঘাম । ঘাম শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সবচেয়ে বড় কথা, আপনি যদি বেশি ঘামেন, তাহলে কিন্তু হিট স্ট্রোকের সমস্যা দূরে থাকে। 

আরও পড়ুন :


হাইপারটেনশন থেকে হতে পারে চোখের ভয়ঙ্কর রোগ, হারাতে পারেন দৃষ্টিও !


ঘাম হওয়া কখন খারাপ ? 


বিজ্ঞান বলছে, ঘাম হওয়া ভাল। তবে বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে আবার ঘাম বেশি হওয়া ভাল নয়। কখন ঘাম হচ্ছে, সেটা দেখুন।  আপনি কি ঠান্ডা ঘরে বসে ঘামছেন ? আপনি যদি ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঘামতে থাকেন, তাহলে তা আপনার জন্য ক্ষতিকর।  এর পিছনে অন্য কোনও রোগ লুকিয়ে থাকতে পারে। সমীক্ষা বলছে ছেলেদের ঘামগ্রন্থিগুলো বেশি সক্রিয়। ঘামে জল ছাড়াও খনিজ লবণ, ল্যাক্টেট আর ইউরিয়া থাকে, তাই স্বাদ হয় নোনা। 


আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে কেউ কেউ কিছু নিয়ে টেনশন করলে ঘামতে থাকেন। এমনকী এসি-র মধ্যেও  শুরু হয় ঘাম। তখন দেখতে হবে আপনার ব্লাড প্রেসার ঠিক আছে তো !  কখনও কখনও অতিরিক্ত ঘাম হার্ট অ্যাটাকের মতো গুরুতর সমস্যার লক্ষণ। ঘামের সঙ্গে বুক ধড়ফড় করলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। আপনি যদি কখনও স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঘামেন বা প্রচুর পরিমাণে ঘামেন তবে তা  উদ্বেগের বিষয় এবং যত তাড়তাড়ি সম্ভব ডাক্তার দেখানো দরকার। 


কখন ঘাম হওয়া ভাল ?


আপনি কি গরমের জন্য ঘামছেন? ওয়ার্কআউটের কারণে ঘামছেন ? দৌড়ানোর সময় ঘামছেন? তাহলে তাতে সমস্যা নেই।  ঘাম হওয়া এক্ষেত্রে খারাপ নয়।  তবে অল্পবিস্তর খাটুনিতেই যদি ঘেমেনেয়ে একসা হন, তাহলে সতর্ক হতে হবে।  নিয়মিচ মাপুন ব্লাগ প্রেসার। কারণ হাই ব্লাড প্রেসার বা হাইপার টেনশন থেকে কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। শরীর নিয়ে সতর্ক থাকুন।