সুনীত হালদার, হাওড়া: পুজোর আগে হাওড়া পুরসভার (Howrah Municipality) সাফাই কর্মীদের একাংশের কর্মবিরতি। ফলে রাস্তার ধারের ভ্যাটে জমছে জঞ্জালের পাহাড়। 


সোমবার সকালে হাওড়ার দাশনগর এলাকার সাফাই কর্মীরা কর্মবিরতি পালন করেন। প্রায় ৩০০ সাফাই কর্মী বোড়ো অফিসে এলেও হাজিরা খাতায় সই করেননি। শনিবারের পর সোমবারেও তারা কর্মবিরতি পালন করেন। তাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে সাফাই কর্মীরা কাজ করলেও তাদের দৈনিক মজুরি মাত্র ১৬৪ টাকা। পুজোর আগে মাত্র ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। পুজোর সময় বোনাস নেই। 


চাকরির নিরাপত্তা এবং চিকিৎসার কোন সুযোগ নেই। তাই এই নিয়ে ৯ দফা দাবির ভিত্তিতে তারা লাগাতার আন্দোলন  করছেন। বেশ কয়েকবার হাওড়া পুরসভার গেটেও বিক্ষোভ দেখান এবং প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি না হওয়ায় তারা কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানান।                                                                         


তারা জানিয়েছেন তাদের দাবি যদি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা না করা হয় তাহলে তারা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এদিকে তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে আজই হাওড়া পুরসভায় ফের বৈঠকে বসার কথা। এখন সেই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আছেন সাফাই কর্মীরা।


আরও পড়ুন, পুজোর আগে ফের সংঘাত? মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন সংক্রান্ত সংশোধনী বিলে সই করলেন না রাজ্যপাল


এদিকে, ডেঙ্গুর এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যে জঞ্জাল নিয়ে যখন খড়গহস্ত কলকাতা পুরসভা, তখন এই পরিস্থিতি চিন্তার। কলকাতায় ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি। ৫ নভেম্বর পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভেক্টর কন্ট্রোলের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে দিনে-রাতে খোলা থাকবে আউটডোর। সপ্তাহে ৪ দিন সোম-বুধ-বৃহস্পতি-শনিবার সকালে আউটডোর খোলা থাকবে। সপ্তাহে ২ দিন মঙ্গল ও শুক্রবার সন্ধেয় খোলা থাকবে আউটডোর। রবিবারও হবে ভেক্টর কন্ট্রোলের কাজ। ভেক্টর কন্ট্রোলের সুপারভাইজার, ইন্সপেক্টর সবাইকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত রবিবারও আসতে হবে কাজে। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা পুরসভা। আজ থেকেই চালু হচ্ছে এই নিয়ম।