সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : চার ছেলেমেয়ে নিয়ে ৫৫ কেজির রুপোর দুর্গা পাড়ি দিলেন ত্রিপুরায় ( Tripura Durga Puja ) । আগরতলার ছাত্রবন্ধু ক্লাবের মণ্ডপ আলো করে থাকবেন রুপোলি দুর্গা ( Silver Durga )। ৫৫ কেজির রুপোর মা দুর্গা । সঙ্গে লক্ষ্মী সরস্বতী কার্তিক গণেশ। এই মাতৃমূর্তি অস্ত্রধারী নয়।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার এক অন্যতম জনপ্রিয় সর্বজনীন দুর্গাপুজো ছাত্রবন্ধু ক্লাব। দর্শক টানতে প্রতি বছর তারা নানারকম থিম দিয়ে তৈরি করে মণ্ডপ থেকে প্রতিমা। এর আগে, ২০১৬ সালে সোনা ও হীরে দিয়ে সোনার প্রতিমা গড়ে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছিল এই ক্লাব। সে-বছর দেবী প্রতিমা যেমন সকলের চোখ টেনেছিল, তেমনই দক্ষিণ ভারত লক্ষ্মীনারায়ণ স্বর্ণ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছিল মণ্ডপ। এ বছরও মণ্ডপে থাকছে বিশেষ আকর্ষণ।
হাবড়ার বাণীপুরে শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার প্রায় চারমাস ধরে গড়েছেন প্রতিমা। নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল ৪ জন গানম্যানকে। ১২টি সিসি ক্যামেরায় অষ্টপ্রহর পাহারা দেওয়া হত রুপোর দুর্গাকে।
করোনার আগে আগরতলার এই ক্লাবের জন্যই ৪ কোটি টাকার সোনার দুর্গা তৈরি করেছিলেন হাবড়ার এই শিল্পী। এবার ইচ্ছা ছিল, প্ল্যাটিনাম বা হিরে দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করার। কারণ ছাত্রবন্ধু ক্লাবের পুজো মানেই বড় বাজেট। ৬ বছর পরে ডাক এসেছে তাঁর। শিল্পী ভেবেছিলেন, এবার হীরে বা প্লাটিনাম দিয়ে ঠাকুর তৈরির বরাত পাবেন। কিন্তু করোনা পরবর্তীকালে সেই সঙ্গতি নেই উদ্যোক্তাদের। সে কারণেই এবার রুপোর ঠাকুরের বরাত। ইন্দ্রজিতের আশা, ভবিষ্যতে মা দুর্গার আশীর্বাদে প্লাটিনাম দিয়ে ঠাকুর বানাতে পারবে ওই ক্লাব।
জুন মাস থেকে শুরু করেছিলেন রুপোর ঠাকুর তৈরি। প্রতিদিন একটু একটু করে এগিয়েছে কাজ। নিখুঁত থেকে আরও নিখুঁত করে তুলেছেন । রবিবার অবশেষে বিমানে আগরতলার উদ্দেশে রওনা হল দেবী মূর্তি। ইতিমধ্যেই এই রুপোর ঠাকুর নিয়ে আগ্রহের সীমা নেই ত্রিপুরায়।
আরও পড়ুন, পুজোয় রসনায় ভেজাল নেই তো? পরীক্ষা করবে KMC