হিন্দোল দে, বেহালা: হেলমেট (Helmet) না পরায় বাইক (Bike) আরোহীকে ধরায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে (Traffic Surgent) প্রাণে মারার ‘হুমকি’। এমনই ঘটনা ঘটেছে বেহালায় (Behala)। কেবল হুমকি নয়, আইনের রক্ষককে ‘গুলি করে খুনের হুমকি’ দিলেন ওই ব্যক্তি।  বেহালার বুড়ো শিবতলায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে খুনের ‘হুমকি’র এই ঘটনায় চাঞ্চল্যও ছড়িয়েছে। দিনে দুপুরে এমন ঘটনা অবাক করেছে সকলকে। এই ঘটনার পরই ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বেহালা থানার পুলিশ। 


ঠিক কী ঘটেছে? 


প্রকাশ্য দিবালোকে জেমস লং ট্রাফিক গার্ডের অন্তর্গত বুড়ো শিবতলা রোডে এই ঘটনা ঘটে। হেলমেটহীন বাইক আরোহীদের ট্রাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে দাঁড় করানো হয়। কাগজপত্র থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগভাবে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছিল। সেই সময় একটি বাইকের পিছনে বসে থাকা আরোহী হেলমেট না পরা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় তাঁর। বাইক চালকের হেলমেট থাকলেও বাইক আরোহী কেন হেলমেট পরেনি তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিবাদ বাঁধে।                                                                 


আরও পড়ুন, রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদ, রাস্তায় উনুন জ্বেলে লুচি ভাজলেন তৃণমূল কাউন্সিলর; বিলি ঘুঁটে-কয়লা


পুলিশের কী অভিযোগ? 


পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ওই বাইক আরোহী সেই সময় গাড়ি থেকে নেমে পড়েন এবং যে সার্জেন্ট ছিলেন দেবাশীষ দাস এবং জিতেন চক্রবর্তী, তাঁদের দুজনকে রীতিমতো হুমকি দিতে থাকেন, গালিগালাজ করতে থাকেন। এরপর ওই সার্জেন্টকে গুলি করে খুন করার হুমকি পর্যন্ত দেয় বলে জানায় পুলিশ। এরপর ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তারপর বেহালা থানায় খবর দেওয়া হলে সেখানকার পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। 


কীসের জোরে, কীসের প্রতিপত্তিতে পুলিশকে 'প্রাণে মেরে ফেলার' হুমকি দিলেন, ওই ব্যক্তির কাছে কি কোনও আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে? এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে।