পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: অনলাইনে গেম খেলতে গিয়ে বেশ কয়েক হাজার টাকা লোকসান। বাড়িতে বকাবকি করায় দ্বিতীয় হুগলি (Secon Hoogly Bridge) সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে গঙ্গায় আত্মহত্যার চেষ্টা করল স্কুলছাত্র। এনভিএফ কর্মী ও হেস্টিংস থানার তৎপরতায় প্রাণরক্ষা হল বেহালার পড়ুয়ার। 


অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে ১০ হাজার টাকা লোকসান। বাড়িতে বকাবকি করায় গঙ্গায় আত্মহত্যার চেষ্টা স্কুলছাত্রের। এনভিএফ কর্মী ও হেস্টিংস থানার তৎপরতায় স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়া হল পরিবারের হাতে। 


রবিবার ঘড়িতে তখন দুপুর ২টো। পুলিশ সূত্রে খবর, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কলকাতামুখী রাস্তার দিকের রেলিংয়ের ওপরে ওঠার চেষ্টা করে বেহালার বাসিন্দা ক্লাস ইলেভেনের পড়ুয়া। বিষয়টি নজরে আসতেই পড়ুয়াকে থামান এনভিএফ কর্মী। খবর দেওয়া হয় হেস্টিংস থানায়। এনভিএফ কর্মী  স্বরূপ সেতুয়া জানিয়েছেন, আমি দেখলাম রেলিং-এর ধারে চলে এসেছে, তখন ছুটে যাই। হেস্টিংস থানাকে খবর দিই।


পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, অনলাইন গেমে প্রবল আসক্তি ছিল পড়ুয়ার। দিন কয়েক আগে বিশেষ কোনও গেম খেলার জন্য বাবার অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করে করে সে। সেই টাকার পুরোটাই লোকসান হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই বাড়িতে বকুনি খায় কিশোর। এর পরই বেহালার বাড়ি থেকে বেরিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। হেস্টিংস থানায় পড়ুয়াকে নিয়ে গিয়ে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 


গত ৮ মার্চ, গেম সংক্রান্ত কারণেই আত্মঘাতী হন এক গৃহবধূ। মোবাইলই গেমই (Mobile Game) মর্মান্তিক পরিণতি ডেকে আনল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। সল্টলেক (Saltlake) দত্তাবাদের (Duttabad) ঘটনা। এ দিন বাড়ি থেকে উদ্ধার গৃহবধূর ঝলন্ত দেহ (Body Rescued)। আত্মঘাতী (Suicide) হন পিউ হালদার। ঘটনায় গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে স্বামী সঞ্জয় হালদারকে। 


বিকালে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর (Housewife suicide) মৃতদেহ উদ্ধার হয় সল্টলেক (Saltlake) দত্তাবাদে (Duttabad)। শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ, প্রায় সারাদিনই মোবাইলে অনলাইন গেম খেলত পিউ হালদার, গেম খেলতে বাধা দেওয়ায় হয়েছেন আত্মঘাতী গৃহবধূ পিউ।


যদিও মৃতার পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মারধর করত পিউকে। সেই কারণেই আত্মঘাতী হন পিউ। যদিও কী কারণে এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। অনলাইন গেম খেলতে বাধা নাকি মারধরের কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি তার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। পিউ-এর বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মঘাতী গৃহবধূর স্বামী সঞ্জয় হালদারকে গ্রেফতার করে বিধাননগর দক্ষিণ থানা পুলিশ।