কলকাতা: স্কুলের পোশাকে বদল। রাজ্যে এবার নীল-সাদা স্কুল ইউনিফর্ম (School Uniform)। ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে সাদা জামা, নীল প্যান্ট। ছাত্রীদের জন্য থাকবে নীল-সাদা শালোয়ার কামিজ এবং নীল-সাদা শাড়ি। সব পোশাকের পকেটেই থাকবে বিশ্ব-বাংলা (Biswa Bangla) লোগো।
সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। সেখানেই নির্দিষ্ট করে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার এবার স্কুলের যেই পোশাক বিলি করবে, সেই পোশাকার রং হবে নীল সাদা। ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে ডিএমদের কাছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে চিকিৎসক সংগঠনের একাংশ। অনেকের মতে স্কুলের নির্ধারিত পোশাক দিয়েই চিহ্নিত করা যেত স্কুল। এবার সব পোশাক একইরকম হয়ে যাওযায় সমস্যা হবে।
নষ্ট হবে পুরনো স্কুলের ঐতিহ্যও। সরকারি সিদ্ধান্তে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, 'রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি।'
বিরোধিতায় সরব হয়েছেন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহকারী সম্পাদক স্বপন মণ্ডল। তাঁর কথায়, 'বাংলার শিক্ষা সংস্কৃতির উপর দখলদারি চালাতে চাইছে রাজ্যের সরকার।'
সম্প্রতি শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, অলচিকি ভাষায় পঠনপাঠনের জন্য ৫ বছরে ৫০০টি স্কুল তৈরি করে দেওয়া হবে। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (CM Mamata Banerjee) বৈঠকে বসেন আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তফশিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য ৫ বছরে ২০ লক্ষ ঘর তৈরি যাঁদের মাটির বাড়ি রয়েছে, সেগুলি পাকা করা হবে।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের জাহের থান ও মাজি থানের দরিদ্র মাজিরা প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। অলচিকি ভাষায় পঠনপাঠনের জন্য ৫ বছরে ৫০০টি স্কুল তৈরি এবং তাতে দেড় হাজার প্যারাটিচার নিয়োগ করা হবে। নেপালি, হিন্দি, উর্দু, কামতাপুরি ও কুরমালি ভাষায় পঠনপাঠনের ৫ বছরে ১০০টি নতুন স্কুল তৈরি হবে। SC, ST ও গরিবদের জন্য ৩ বছরে ১০০টি নতুন ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল তৈরির সিদ্ধান্তও এদিন নেওয়া হয়েছে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে খুলেছে প্রাথমিক (Primary School), উচ্চ প্রাথমিক স্কুল (Upper Primary School)। প্রায় ২ বছর পরে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত রাজ্যে খুলেছে স্কুল। করোনা বিধি মেনে প্রাথমিক স্কুল খোলার (School Reopening) নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার (Westbengal Government)। পাশাপাশি এ দিন থেকেই সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও খোলার নির্দেশ দেয় সরকার। কীভাবে বিধিনিষেধ মেনে ক্লাস শুরু হবে, সেই নির্দেশিকাও দেয় স্কুল শিক্ষা দফতর।