আবীর দত্ত, চড়কতলা: তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পর থমথমে বেহালার (Behala) চড়কতলা। ঘটনার দেড়দিন পরও মূল অভিযুক্ত ও এলাকার তৃণমূল যুবনেতা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (Somnath Banerjee) অধরা। রাতভোর তল্লাশি চালিয়েও তাঁর হদিশ মেলেনি বলে পুলিশ (Police) সূত্রে খবর।


কী অভিযোগ? 


বেহালায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনার নেপথ্যে উঠে আসছে সিন্ডিকেট নিয়ে যুব তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের তত্ত্ব। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। যদিও শাসকদলের বক্তব্য, এটা সিন্ডিকেট বা গোষ্ঠী সংঘর্ষ নয়, পুরোটাই দুই পাড়ার বিবাদ। মঙ্গলবারে রাতে চড়কতলা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে। এলাকা জুড়ে চলে অবাধে ভাঙচুর। আবাসনে ঢুকে চলে তাণ্ডব। সবটাই হয় পুলিশের সামনেই। 


যদিও বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এটা তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠী সংঘর্ষ নয়। দুটো পাড়ার মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমরা দেখছি। এখন সবাই তো তৃণমূল।" 


আরও পড়ুন, কলকাতার কাছেই উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, ১৪৫ রাউন্ড কার্তুজ! চাঞ্চল্য এলাকায় 


বিরোধীদের কটাক্ষ


এদিকে ঘটনাস্থলে আসার পর আবাসনের বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন স্থানীয় কাউন্সিলর।  এই ঘটনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের।  প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, "তৃণমূলে দু’টো গোষ্ঠী। একদিকে পিসির দল, অন্যদিকে ভাইপোর। তাই এক পক্ষ অপর পক্ষকে মারছে।" 


বেহালায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের পরের দিনই ফেসবুকে অডিও ক্লিপ শেয়ার করলেন রাজ্য বিজেপির এক নেতা! অডিও ক্লিপে তোলাবাজি, হুমকি-সহ একাধিক প্রসঙ্গ। অডিও ক্লিপে বাবুন নামে এক ব্যক্তির কথা। এই বাবুনই কি বেহালার যুব তৃণমূল নেতা? উঠছে প্রশ্ন। যদিও অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।