পার্থপ্রতিম ঘোষ, বহরমপুর : কলেজছাত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। একটা মানুষ কী করে এতটা নৃশংস হতে পারে ! প্রশ্ন সবার মনে। অথচ যাকে নিয়ে এত আলোচনা, সে নির্বিকার। পুলিশি জেরার মুখেও নির্লিপ্ত অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী।
'ভয় দেখাতে আনে খেলনা বন্দুক'
পুলিশ সূত্রের খবর, জেরা চলাকালীন হাসতেই হাসতেই ওই যুবক জানিয়েছে, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে খুনের ছক কষে। ভরসন্ধেয় ওই এলাকায় লোকজন থাকে জেনেই সকলকে ভয় দেখাতে আনে খেলনা বন্দুক। পুলিশের দাবি, শনিবার থেকে বহরমপুরে ঘাঁটি গেড়েছিল সুশান্ত। এই সময়ে সে কোথায় ছিল, এই কাজে কেউ মদত দিয়েছিল কিনা, জানতে চাওয়ার পাশাপাশি, খেলনা বন্দুক ও ছুরি কোথা থেকে জোগাড় করেছিল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় ধৃত দাবি করেছে । সুতপার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রীর পরিবার তাকে অপমান করত। মাসচারেক আগে অন্য এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় সুতপার। তা মেনে নিতে না পেরেই খুন করেছে সে।
আরও পড়ুন :
নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর আতঙ্কে বহরমপুরের সেই মেস ছাড়ছেন ছাত্রীরা
কীভাবে খুন
ঠান্ডা মাথায় বহরমপুরে মেসের সামনে, ফিজিক্সের তৃতীয় বর্ষের কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে নৃশংস্যভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। রীতিমতো পরিকল্পনা করেছিল ধৃত সুশান্ত চৌধুরী। পাটনার একটি কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্র সুশান্ত । সূত্রের দাবি, খুনের পর পুলিশকে এড়াতে দু’-দু’বার লাক্সারি ট্যাক্সি বদলায়। গাড়ির ভিতরেই বদলে নেয় রক্তমাখা পোশাক।
এরপর সামশেরগঞ্জের রাস্তায় নাকা চেকিং দেখে ভয় পেয়ে ট্যাক্সি থেকে নেমে মিনিডোরের নীচে গিয়ে শুয়ে পড়ে সুশান্ত। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বহরমপুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চরমে উঠছে রাজনীতি। কখন ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’ পাঠাচ্ছেন বহরমপুরে? মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে ট্যুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা, খুনে অভিযুক্তের সঙ্গে বিজেপি যোগের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। অস্বীকার করেছে বিজেপি।