বেলেঘাটা: বেলেঘাটায় এক ডাকাতির ঘটনায় বিহারে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও তাকে হাতে পায়নি কলকাতা পুলিশ। বিহার পুলিশ ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে রেখে দেয়। এবার সেই অভিযুক্তই বিহার পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়েছে বলে সূত্রের দাবি। 


বিহার থেকে ডাকাতিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেও, খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল কলকাতা পুলিশকে । স্থানীয় মামলায় অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয় বিহার পুলিশ। এবার বিহার পুলিশের হেফাজত থেকে পালাল সেই অভিযুক্ত।  এই নিয়ে দু’বার হাসপাতাল থেকে চম্পট দিল সে।   


অভিযুক্তর নাম রাজকুমার রায় ওরফে নীরজ। জানুয়ারিতে বেলেঘাটায় এক আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতিতে অভিযুক্ত হিসেবে তাঁর নাম উঠে আসে। ফেব্রুয়ারিতে নীরজকে বিহারের রক্সৌল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জুনে কলকাতা পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যায় অভিযুক্ত। 


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ৮ অগাস্ট বিহারের পূর্ব চম্পারণ থেকে ফের অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু কলকাতা পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতকে কলকাতায় আনতে বাধা দেয় বিহার পুলিশ। স্থানীয় থানার মামলা রয়েছে, এই দাবি করে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেয় বিহার পুলিশ। নীরজকে রাখা হয়েছিল মতিহারির সদর হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সেই হাসপাতাল থেকে ফের পালিয়েছে অভিযুক্ত।  


অভিযুক্তর খোঁজে এবার বিহার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে লালবাজার। তবে তদন্তে ভিনরাজ্যে গিয়ে কলকাতা পুলিশের বাধার মুখে পড়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে দিল্লি ও অসমে যায় সিআইডি। 


অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর দিল্লির বাড়িতে গেলে, সিআইডিকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। অসম বিমানবন্দরেও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করতে গিয়ে সিআইডি বাধার মুখে পড়ে বলে অভিযোগ। এবার একই অভিযোগ উঠল বিহারে। কলকাতা পুলিশ যাকে গ্রেফতার করেও নিয়ে আসতে পারল না, সে পালাল বিহার পুলিশের হেফাজত থেকে। 


 ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু: মানিকতলায় নবম শ্রেণির ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ভাল মেয়ে হতে পারলাম না, তাই চলে গেলাম... সুইসাইড নোটে উল্লেখ বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কী এমন ঘটল যে ১৬ বছরেই এমন ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিল নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।


উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) অন্যায় করেছেন। তাই দল থেকে তাঁকে বাদ দওয়া হয়েছে। দলের মধ্যে ক্যান্সার থাকায় তা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সম্পর্কে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার (New Barrackpore)  তৃণমূলের (TMC) পুরপ্রধান প্রবীর সাহার মন্তব্যের ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। এই মন্তব্য সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রবীর সাহা যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।  


পার্থ চট্টোপাধ্যায় ক্যান্সার (Cancer)! অন্যায় করেছিলেন! তাই কেটে বাদ দিয়েছে! দলের প্রাক্তন মহাসচিবকে বেনজির আক্রমণ নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার তৃণমূলের পুরপ্রধান প্রবীর সাহার। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। তবে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক বেধেছে!