কমল কৃষ্ণ দে, সুকান্ত মুখোপাধ্যায়  এবং ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বোলপুরঃ বোলপুরের রাইসমিলে ( Bolpur Rice Mill)  সিবিআই হানা (CBI Raid) দিতেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়( Locket Chatterjee )। তিনি বলেন, 'রাইসমিলের মধ্যেও হয়তো কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাবে। চালের ভিতরেও হয়তো কোটি কোটি টাকা রেখে দিয়েছেন। যে মাকড়ার জালের মতো সারা বীরভূম জুড়ে টাকার বিস্তার করেছে, আমার মনে হয় মানুষের সামনে সেগুলি আনা উচিত। খুব তাড়াতাড়ি এনার বিচার করা উচিত। লজ্জার কথা মানুষের টাকা এরা লুঠ করেছে।' আর তারপরেই মূলত তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Santanu Sen)।


লকেট দিদিমণি এপাং ওপাং ঝপাং করে মমতার ছাতার তলায় আসার চেষ্টা করছিলেন: তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন


এদিন শান্তনু সেন বলেন, 'আমি তো কিছুদিন আগে অবধিও জানতাম যে, লকেট দিদিমণি এপাং ওপাং ঝপাং করে, লম্ফ দিয়ে ঝম্প মেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাতার তলায় আসার চেষ্টা করছিলেন। কারণ তিনি নিজেও খুব ভাল মতো জানেন, তা না হলে ২০২৪-এ তার তকমা হবে লকেট চট্টোপাধ্যায় , প্রাক্তন সাংসদ। এখন ঘোলা জলে মাছ ধরে তিনি হয়তো এই ধরণের কথা বলে নাম্বার বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। আমি ওনাকে একটা কথা বলি, মহামান্য আদালতের কাছে একটা কেস হয়েছে বলে শুনেছি,  লকেট দিদিমণিরও সম্পত্তি বহুগুণ বেড়েছে। তিনি তো বলেছেন আমি অভিনেত্রী থাকার পর আমি আর কোনও পেশায় যুক্ত নেই। তাহলে আমরাও আশায় রয়েছি, তিনি কী উত্তরটা দেন। কী তার সম্পত্তি বাড়ল এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ।'


আরও পড়ুন, 'উনি একা পাপের সঙ্গে যুক্ত নন', পার্থ-র কাছে বাকিদের নাম জানতে চাইলেন দিলীপ


রাইসমিলে সিবিআই হানা দিতে বেরিয়ে পড়ল একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য


প্রসঙ্গত, এদিন বৃষ্টি মাথায় করেই অনুব্রত গড়ে রাইসমিলে অভিযান চালান সিবিআই আধিকারিকরা। আর রাইসমিলে হানা দিতে বেরিয়ে পড়ল একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।এদিন প্রথমে রাইস মিলে ঢুকতে পারছিলেন না সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। জানানো হয় প্রথমে ভিতরে কেউ নেই। যদিও এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভিতরে রাখা বিলাসবহুল গাড়ি তো বটেই, পাশাপাশি বাইক, সাইকেলও। যদি স্টাফরা ভিতরে না থাকতেন তাহলে কোথা থেকে এল ওই সাইকেল, বাইক ? আর চাবি যদি খুঁজে না পাওয়া যায়, তাহলে তারা ঢুকলেন কীকরে ? এদিকে ততক্ষণে প্রায় ৪০ মিনিট কেটে গিয়েছে। মিলের কর্মীরা তারপর আসেন। মিলের নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, তাঁদের কাছে চাবি ছিল না। চাবি এনে তারপর গেট খোলা হয়। তারপর গেট দেরি কেন খোলা হল,চাবি কোথায় ছিল, কার কাছ থেকে আনা হল, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ক্যামারার সামনে রীতি মত কথার হোচট খাচ্ছিলেন এক কর্মী। সবমিলিয়ে বৃষ্টির মাঝে বোলপুরের এই রাইস মিলে সিবিআই হানার পর রহস্য বাড়ল।