ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা:  জলাতঙ্ক টিকার জন্য বিশেষ মোবাইল মেসেজ রিমাইন্ডার ব্যবস্থা চালু করছে বেলেঘাটা আইডি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জলাতঙ্কের প্রথম টিকা নেওয়ার পর অনেকেই পরবর্তী ডোজ নিতে ভুলে যান। তাঁদের জন্যই চালু হচ্ছে এই বিশেষ মোবাইল মেসেজ রিমাইন্ডার ব্যবস্থা।


নিউমোনিয়া-সোয়াইন ফ্লুয়ের মতো টিকার ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা চালু করা হবে। পরবর্তী ডোজ মনে করানোর জন্য মোবাইলে পাঠানো হবে রিমাইন্ডার মেসেজ। চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চালু হবে এই ব্যবস্থা। 



কুকুর, শিয়াল, বিড়াল, বাদুড়, বেজি, বানর ইত্যাদি প্রাণী জলাতঙ্ক সৃষ্টিকারী ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা মানুষকে কামড়ালে এই রোগ হয়। আমাদের দেশে ৯৫ শতাংশ জলাতঙ্ক রোগ হয় কুকুরের কামড়ে। সাধারণত আক্রান্ত প্রাণী সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ানোর ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। তবে এ সময়সীমা এক সপ্তাহ থেকে এক বছর পর্যন্তও হতে পারে।                  


জলাতঙ্কের জন্য দুই ধরনের টিকা রয়েছে। ক্ষতের তীব্রতা ও আধিক্যের ওপর ভিত্তি করে কারও ক্ষেত্রে এক ধরনের, আবার কারও কারও ক্ষেত্রে উভয় ধরনের টিকা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে। যত তাড়াতাড়ি জলাতঙ্কের এ টিকা গ্রহণ করা যায়, ততই ভাল।  সাধারণত প্রথম দিন টিকা দেওয়ার পর ৩, ৭, ১৪, ২৮ ও ৯০তম দিনে টিকার মোট ৬টি ডোজ প্রয়োগ করতে হয়। 


এদিকে, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে খবর, নতুন বছরের গোড়া থেকে আচমকা ডিপথেরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে ভর্তিও হচ্ছেন তাঁরা। এমনকি সম্প্রতি ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক শিশুরও মৃত্যু হয়েছে কলকাতায়। আর তাতেই বাড়ছে দুশ্চিন্তা।                            


ডিপথেরিয়ার কারণ হল একটি বিশেষ ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ। যার নাম - করিনেব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরি। চিকিৎসকরা বলছেন, অনেকটা করোনার মতোই হাঁচি, কাশি ও ড্রপলেটের মাধ্যমে একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে সংক্রমিত হয় ডিপথেরিয়ার ব্যাক্টেরিয়া।  গলা ব্যথা, কিছু গিলতে না পারা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর- মূলত এগুলোই হল ডিপথেরিয়ার উপসর্গ।