সুনীত হালদার, বেলুড়: হাওড়া জেলা সদর যুব তৃণমূল সভাপতির গাড়িতে 'গুলি' চলল। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাতে বাড়ি ফেরার পথে হামলা হয় বলে অভিযোগ। বেলুড়ে জিটি রোডের উপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ কৈলাস মিশ্রের। গাড়ির কাচে গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাস্তা অন্ধকার থাকায় কাউকে দেখা যায়নি বলে দাবি তাঁর। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে এলাকায়। (Belur Firing)


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। কালীঘাটে পুজো দিয়ে রাতে পরিবারকে নিয়ে লিলুয়ার বাড়িতে ফিরছিলেন কৈলাস। সেই সময় পিছন দিক থেকে গাড়িতে গুলি চলে। গুলি লাগে গাড়ির কাচে। গাড়িতে নিজের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও পরিবারের লোকজন ছিলেন। গুলি চলার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। (TMC Leader Attacked)


এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। কৈলাসের অভিযোগ, পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে তাঁর গাড়িতে। তাঁকে শেষ করে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল দুষ্কৃতীদের। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। কে বা কারা গুলি চালাল, কোন উদ্দেশে গুলি চালানো হয়, রাজনৈতিক কারণ না কি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, সবকিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


শুধু বেলুড়েই নয়, বুধবার গুলি চলার ঘটনা সামনে আসে নদিয়ার কালীগঞ্জের পালিতবেগিয়া এলাকা থেকেও। সেখানে তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষে গুলি চলে বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন এক সিপিএম কর্মী। তাঁর হাতে গুলি লাগে। আহত বাম কর্মীকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা হয় তাঁর। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল কালীগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য শামিম আহমেদের দলবলের দিকে।


ঘটনাস্থলে কালীগঞ্জ থানার পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, পালিতবেগিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি টিউবওয়েল বসানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের বিবাদ। এই নিয়ে গন্ডগোলের মধ্যেই গতকাল রাত ৯টা নাগাদ গুলি চলে বলে অভিযোগ। তৃণমূল ও সিপিএমের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


একদিনে এই জোড়া গুলি চলার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। দুই ঘটনাতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। 


আরও পড়ুন: Minakshi Mukherjee: মীনাক্ষীকে তলব করল CBI, আজ সিজিও কমপ্লেক্সে যাবেন DYFI নেত্রী