সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ৯ অগাস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসককের মৃতদেহ। আগের রাতে বেশ কিছুক্ষণ সেমিনার হলের উল্টোদিকের ঘরে ছিলেন এক রোগিণী ও তাঁর ছেলে। সেদিন রাতে সেমিনার হলে কী দেখেছিলেন তাঁরা? ইতিমধ্যেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।         



আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের রাতে বেশ কিছুক্ষণ সেমিনার হলের উল্টোদিকের ঘরে ছিলেন এই রোগিণী ও তাঁর ছেলে। এই সেমিনার হল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল চিকিৎসকের দেহ। সেদিন রাতে সেমিনার হলে কী দেখেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার টাকির বাসিন্দা মিঠু দাস। তাঁর ছেলে সায়ন। তিনি আর জি কর হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী। তাঁদের বক্তব্য, ওই রাতে তাঁরা দেখেছিলেন, সেমিনার হলের দরজা ভেজানো ছিল। ইতিমধ্যেই মা-ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে সিবিআই। 


মিঠু দাস 'স্লিপ অ্যাপনিয়া'র রোগী। ৮ অগাস্ট, একটি পরীক্ষার জন্য তাঁরা আসেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে। সেমিনার হলের ঠিক উল্টোদিকে 'স্লিপ-স্টাডি রুম'। এই রুমেই হয় তাঁর পরীক্ষা। সন্ধে সাতটা নাগাদ পরীক্ষা শুরু হয়। ডাক্তার বলেছিলেন রাত সাড়ে এগারোটা অবধি চলবে।


আর জি কর হাসপাতালের রোগীর আত্মীয় ও নিরাপত্তারক্ষী সায়ন দাস বলেন, 'সাড়ে এগারোটার সময় চিকিৎসক অর্ক সেনকে ফোন করি, তিনি বলেন মা কি ঘুমোচ্ছে? বলেন, তাহলে আরেকটু ঘুমোক আসছি। এরপর, সাড়ে বারোটা নাগাদ ডাক্তার অর্ক সেনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন ধরেন না। তার কিছুক্ষণ পরে তিনি চলে আসেন। এরপর, মাকে নিয়ে চলে আসি চেস্ট মেডিসিনের ফিমেল ওয়ার্ডে। ঘর থেকে বেরনোর সময় দেখি, সেমিনার হলের দরজা ভেজানো অবস্থায় রয়েছে।' 



আরও পড়ুন, রাতদখল করতে গিয়ে রাস্তায় বসে মদ খাচ্ছে মেয়েরা! বিতর্কিত মন্তব্য মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের


সেমিনার হলের সামনে থেকে চেস্ট মেডিসিনের ফিমেল ওয়ার্ডে আসতে হলে, মাঝে রয়েছে নার্সিং স্টেশন। ওই রাতে সেখানে দুজন নার্স ছিলেন বলে দাবি রোগিণীর। মা-ছেলের দাবি, ওই রাতে চেস্ট মেডিসিনের ফিমেল ওয়ার্ডে ৯ রোগী ছিলেন। তাঁরা সকলেই ঘুমোচ্ছিলেন। তবে, দু-তিন জন রোগীর পরিবারের লোকজন জেগে ছিলেন। এরপর, অক্সিজেন প্লান্টে নিজের ডিউটিতে চলে যান সায়ন। সকালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের বিষয়টি জানতে পারেন।


সায়ন দাসের কথায়, 'পরের দিন সকালে খবরটা জানতে পারি। একজন ডাক্তার নাকি সুইসাইড করেছে, আটটা-সাড়ে আটটা নাগাদ জানতে পারি। মাকে ফোন করি, মা কিছু জানতে পারেনি। পরে মা ফোন করে জানায় বিষয়টা। ওপরে গিয়ে দেখি ভিড়ে ভিড়। পুলিশ আর কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না।' ১২ অগাস্ট হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মিঠু দাস। ইতিমধ্যেই তাঁকে এবং তাঁর ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে