পূর্ণেন্দু সিংহ, প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া : নিজের গাড়িচালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের (Extra Marital Affair) অভিযোগ উঠেছে শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির (Chandana Bauri )বিরুদ্ধে। গাড়িচালক আবার কয়েক ধাপ এগিয়ে দাবি করেছিলেন, বিধায়কের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছে। তিনি দাবি করেন,  দুর্গামন্দিরে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। পালিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। গাড়িচালকের অভিযোগ,  চন্দনাকে মারধর করত ওর স্বামী, শাশুড়ি। ঠিক যেন নাটকের ঘটনাপ্রবাহ! 


বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যান বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু  তা সম্ভব হয়নি। কারণ, বিধায়ক হওয়ায়, আত্মসমর্পণের আবেদন করতে হবে উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতের বিশেষ আদালতে।


চন্দনা বাউড়ি এবং নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান গাড়িচালকের স্ত্রী। যার প্রেক্ষিতে, বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর গাড়িচালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর বিরুদ্ধে, ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারায় বধূ নির্যাতন, ৪৯৪ ধারায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, ৪০৬ নম্বর ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ ও ৫০৬ নম্বর ধারায় হুমকি দেওয়ার মামলা রুজু করে।


এর মধ্যে ৪৯৮-এ ও ৪০৬ নম্বর, জামিন অযোগ্য ধারা। বিজেপি বিধায়কের গাড়িচালকের স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু কথা বলেন, ' আমার পরিবারের আজকের যে পরিস্থিতি তার জন্য দায়ী চন্দনা বাউড়ি, আইনের উপর আমার পুরো ভরসা আছে, আমি আইনের উপর ভরসা করেই ছেড়ে দিচ্ছি ও যেন শাস্তি পায়।' 


তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আগে বারবার খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। যদিও এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি তিনি। 

বিধায়কের আত্মসমর্পণের ইচ্ছাপ্রকাশ নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, 'চন্দনাকে ফাঁসানো হয়েছে।' অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা জানান, ' চন্দনা বাউড়ি ফেসবুকে বলেছিলেন-বিয়ে করেননি, পুরোটাই মিথ্যা। তাহলে কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী কেন অভিযোগ করেছিলেন, কেন বিধায়ককে কোর্টে আসতে হল?' 


সব মিলিয়ে বিজেপি বিধায়কের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগকে কেন্দ্র করে টানাপোড়েন দুই সংসারে এবং চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে।