কলকাতা: রাজ্যপালের মধ্যরাতের হুঁশিয়ারির মধ্যেই রাজভবনে মুখ্যসচিব। রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর। 'মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়', রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই জল্পনা বাড়িয়ে বিস্ফোরক রাজ্যপাল (Governor)। তারপরেই রাজভবনে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Chief Secretary HK Dwivedi )।


রাজ্য় এবং রাজ্য়পালের মধ্য়ে সংঘাত  চরমে


অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য় সরকার এবং রাজ্য়পালের মধ্য়ে সংঘাত  চরমে। মূলত বৃহস্পতিবার কড়া ভাষায় রাজ্য় সরকারকে নিশানা করেছিলেন রাজ্যপাল  সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার তার জবাব দিতে গিয়েই রাজ্যপালের উদ্দেশে 'মহম্মদ বিন তুঘলক, ফাঁসুড়ে'-র মতো শব্দ ব্যবহার করেন শিক্ষামন্ত্রী। শুক্রবার রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।


মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন : রাজ্যপাল


তার পাল্টা শনিবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। শনিবার সকাল গড়াতেই হুঁশিয়ারির সুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন রাজ্যপাল বলেন,'যা করেছি, তাতে গর্বিত আমি। মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কী হবে দেখতে পাবেন।' এদিকে'শহরে ভ্যাম্পায়ারের উদয় হয়েছে' পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দেন ব্রাত্য।  স্বাভাবিক এই ইস্যুতে সরব বিরোধীরা। 


'শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার..'


তবে রাজ্যপালকে জবাব দিতে দেরি করেননি ব্রাত্যও। রাজ্যপাল চ্যালেঞ্জ ছোড়ার পরই ট্যুইটারে বিস্ফোরক মন্তব্য ব্রাত্য বসুর। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, কী ঘটে দেখুন। সাবধান, সাবধান, সাবধান ! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার উপস্থিত হয়েছেন। সাবধান হয়ে যান শহরবাসী। রাক্ষস প্রহরে’র জন্য উদগ্রীহ হয়ে অপেক্ষা করছি, যার উল্লেখ রয়েছে ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনিতে।'


আরও পড়ুন, 'উপনির্বাচন কোনও ভোট নয়, ভোট হবে ২০২৪-এ..', TMC-কে নিশানা শুভেন্দুর


রাজভবনে মুখ্যসচিব


উল্লেখ্য, শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য রাজ্যের সরকারি সাহায্য়প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে কেবল ১২ জন সেই বৈঠকে উপস্থিত হন। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে যে, আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের নির্দেশ মেনেই রেজিস্ট্রারদের পাঠাননি উপাচার্য। সেই নিয়েই শনিবার রাজ্যপাল বলেন, 'যা করেছেন একেবারে ঠিক করেছেন। পাল্টা মধ্যরাতে কিছু হতে পারে বলে উত্তেজনাও জিইয়ে রেখেছেন। তাতেই কটাক্ষ ছুড়ে দেন ব্রাত্য। তবে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন নয়, এর আগেও এই সংঘাত দেখেছে বাংলা, তবে এমন হুঁশিয়ারির সুর পেয়ে কার্যত সজাগ রাজনৈতিক মহলও। আর এমনই এক আবহে রাজভবনে মুখ্যসচিবের সফর ঘিরে বাড়াল জল্পনা।