কলকাতা: দেশে জ্বালানি মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের আর্থিক অবস্থা প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার চেয়ে খারাপ। ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ কিন্তু ভারতের অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ। এখানে জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে।"


এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েই চলেছে। ভারতের ইকনমির অবস্থা খুব খারাপ। শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখছি, মানুষ পথে নেমেছে। ভারতের অবস্থা আরও খারাপ। কোনও প্ল্যানিং নেই। ১১ দিনে ১৩ বার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েছে। পিএফ এর ইন্টারেস্ট কমেছে। মানুষ জানে না ব্যাঙ্কের-ইনস্যুরেন্সের টাকা পাবে কি না, ছত্তীসগড়ের সিএম আমাকে চিঠি দিয়েছে, জিএসটি টাকা দিচ্ছে না। যে ডালে বসে আছে, সেই ডাল কাটছে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি। সবার সঙ্গে কথা বলে অর্থনীতি নিয়ে কথা না বলে।' 


শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সঙ্কটের দরুণ দেশে মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে। চালের দাম ২২০ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম এবং এক কিলোগ্রাম গুঁড়ো দুধ বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ টাকা দরে। বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, অগ্নিমূল্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। 


আরও পড়ুন, ‘ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের পড়ানোর টাকা নেই কেন্দ্রের কাছে’, জানালেন মমতা


ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে কার্যত দেউলিয়া অবস্থা শ্রীলঙ্কার। পরিস্থিতি এতটাই কঠিন যে সাধারণ মানুষের মুখে খাওয়ারটুকু পৌঁছে দেওয়াও রীতিমত কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের কাছে। পাশাপাশি, যেটুকু খাদ্যদ্রব্য অবশিষ্ট রয়েছে তার দামও হয়েছে আকাশছোঁয়া। 


এই অবস্থায় ভারত থেকে শ্রীলঙ্কায় প্রথমবারের জন্য খাবার ও জ্বালানি সরবরাহ করে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হল। সূত্রে খবর, ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনের একটি তেলের জ্বালানির ট্যাঙ্ক পৌঁছে গিয়েছে শ্রীলঙ্কায়। শনিবার একটি ৬ হাজার মেট্রিক টনের জাহাজ পৌঁছে গিয়েছে সেখানে। শ্রীলঙ্কার সাইলন ইলেকট্রিসি বোর্ডের মজুত জ্বালানি শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখে পড়েছে সে দেশ। সেই কারণেই জ্বালানি তেল দিয়ে প্রাথমিক সাহায্য পৌঁছে দিল ভারত।