সন্দীপ সরকার, কলকাতা : নতুন বছরের শুরুতেই গঙ্গাসাগর মেলা। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ, সাগর আরতি। আজ গঙ্গাসাগর ( Gangasagar ) যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee )। গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর।


বুধবার দুপুরে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাড থেকে কপ্টারে চড়ে রওনা দেবেন তিনি। ডুমুরজলার আদলে সাগরে তৈরি হয়েছে নতুন হেলিপ্যাড। অবতরণের পর হেলিপ্যাডের উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।


গঙ্গাসাগরে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি, কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মেলা প্রাঙ্গণের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার ফাঁকে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলারও সম্ভাবনা রয়েছে। রাতে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা। 


ডিসেম্বর মাসে মেলার প্রস্তুতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় নবান্নে। এরইমধ্যে, নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, '' অনেকেই নাশকতা, দাঙ্গা করার পরিকল্পনা করবে। সেগুলি ভেঙে দিতে হবে। গোটা দেশ থেকে লাখ লাখ পুণ্যার্থী আসবেন। রাজ্য-কেন্দ্র মিলে কাজ করতে হবে। সকলকে নিরাপত্তা দিতে হবে।”


৮ থেকে ১৭ জানুয়ারি অবধি হবে গঙ্গাসাগর মেলা।  মেলার এবারের বিশেষ আকর্ষণ সাগর আরতি। ১২, ১৩, ১৪ সাগরে বিশেষ আরতির আয়োজন করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সাগরে সংক্রান্তির পূণ্যস্নান করতে আসবেন অন্তত ৩০ লক্ষ পুণ্যার্থী ও সাধু-সন্তরা। সেই উপলক্ষ্য়ে জোরদার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। 


দিনকয়েক আগেই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন গঙ্গাসাগরের পুণ্যতিথির দিনক্ষণ, সময়। তিনি বলেছিলেন, ' কুম্ভস্নান শুরু হচ্ছে ১৪ তারিখ ৬.৫৩ মিনিটে। পুণ্যস্নানের সময় ২৪ ঘণ্টা।' এছাড়াও পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করেন তিনি। মমতা বলেন, 'মেলায় ২২৫০টি সরকারি বাস, ৫০০ বেসরকারি বাস চালু থাকবে। ৪টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ এই সময়ে চলবে। এক টিকিটে গঙ্গাসাগরে যাওয়া-আসা করা যাবে। ১০টি ফায়ার স্টেশন, ২৫টি দমকলের ইঞ্জিন মোতায়েন থাকবে।'


গত বছর সবাই যাতে কোভিডবিধি মেনে চলে, সেজন্য মাইকে অনবরত প্রচার চালিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেজন্য সকাল থেকেই মাইকে চলে প্রচার। স্যানিটাইজ করা হয়েছিল মেলা চত্বর, সমুদ্র সৈকত। গঙ্গাসাগর থেকে পুণ্যার্থীদের আনা ভেসেলগুলিকেও স্যানিটাইজ করা হয়। যেসব পুণ্যার্থীর মুখে মাস্ক নেই, তাঁদের হাতে মাস্ক তুলে দিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা।     


আরও পড়ুন ; এবছর গঙ্গাসাগর মেলার পুণ্যস্নানের সময় কখন? বিস্তারিত জানালেন মমতা