Manata Banerjee On Rampurhat :  বীরভূমের হত্যালীলার ঘটনায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে’ । তিনি জানালেন, ঘটনার কথা জানতে পেরে তিনি বহুবার সেখানে যোগাযোগ করেছেন। দায়িত্বশীল নেতাদের পাঠিয়েছেন ঘটনাস্থলে। কড়া পদক্ষেপও করেছে রাজ্য প্রশাসন। তারপরও বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণ ও রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে সোজাসুজিই বিরক্তপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।  
আজ রামপুরহাটে যাচ্ছে বিজেপির এক প্রতিনিধিদল। শক্তিগড় হয়ে যাচ্ছে তাঁদের বাস। বিরোধী সেই দলকে সরাসরি কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে বীরভূমে ঢুকছে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে। আজ বীরভূমে যাব ভেবেছিলাম, তাই যাইনি’। সেই সঙ্গে তিনি জানান, ‘কাল আমি রামপুরহাট যাব’। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা সবাইকে সব জায়গায় যেতে দিই। কিন্তু বিরোধীরা এখন হাঁচলে-কাশলেও এখানে দেখছি আদালতে চলে যাচ্ছে’ । সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘বীরভূমের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। ঘটনা ঘটার পর অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে, না হচ্ছে না?। এর চেয়ে ঢের বেশি ঘটনা উত্তরপ্রদেশে ঘটছে’
বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা,  ‘অন্যের ঘরে দেশলাই জ্বালালে, নিজের ঘরেও তা উড়ে এসে পড়তে পারে’





প্রেক্ষাপট 
বকটুই গ্রামে নৃশংস হত্যালীলা ও তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও কয়েকজনের খোঁজ চলছে। ধৃতদের মধ্যে নিহত তৃণমূল উপপ্রধানের এক ভাইও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। পুড়ে যাওয়া বাড়ির ছাদ ও মেঝে থেকে নমুনা সংগ্রহ রাজ্য পুলিশের ফরেন্সিক দলের। 


প্রশ্ন উঠছে, বকটুই গ্রামে বেছে বেছে কয়েকটি বাড়িতেই কি আগুন লাগানো হয়েছিল? প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি তেমন সম্ভাবনাই উস্কে দিচ্ছে। ভয়ঙ্কর হত্যালীলার পর এখনও থমথমে গোটা গ্রাম। খাঁ-খাঁ করছে বাড়িঘর। আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছে নিহত তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের পরিবারও। শিশু, মহিলা-সহ ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার পর একদিন পেরিয়ে গেলেও খড়ের গাদা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়।