নয়াদিল্লি ও কলকাতা: উদ্দেশ্য বিজেপি বিরোধী জোটকে মজবুত করা। সেই লক্ষ্যেই আজ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর ডাকে বিরোধীদের ভার্চুয়াল বৈঠক। থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উদ্ধব ঠাকরে ও  এম কে স্ট্যালিন-সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ১৫টি রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভার্চুয়াল বৈঠকে।


মিশন ২০২৪। তার আগে বিজেপি বিরোধী জোটকে জোরদার করতে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে দিল্লিতে। এই প্রেক্ষাপটেই আজ বিকেলে বিজেপি বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে,তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন,ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন যোগ দিতে পারেন সনিয়ার ডাকা এই ভার্চুয়াল বৈঠকে।


পাশাপাশি কংগ্রেস সভানেত্রীর ডাকা এই বৈঠকে সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, আরজেডি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, সিপিএম, সিপিআই এবং জেডিএস-সহ মোট ১৫টি রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা থাকতে পারেন।বৈঠকে থাকতে পারেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীও। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভানেত্রীর ডাকা, এই ভার্চুয়াল বৈঠক শুক্রবার বিকেল ৪টের সময় শুরু হবে।সেখানে পেগাসাস, কৃষি আইন, করোনা ইস্যু-র পাশাপাশি আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে।২০২৪-এর লোকসভার মহাযুদ্ধের আগে, ২০২২-এ গোয়া,মণিপুর,পঞ্জাব,উত্তরপ্রদেশ,উত্তরাখণ্ড,হিমাচলপ্রদেশ ও গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন।সেখানে বিজেপি বিরোধী কোনও সমীকরণ তৈরি করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে। 


এর আগে গত ২৮ জুলাই দিল্লিতে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গাঁধীও।বৈঠকের পর বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আসার পক্ষে জোরাল সওয়াল করেন তৃণমূল নেত্রী।দফায় দফায় বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেছেন রাহুল গাঁধীও।পেগাসাস থেকে কৃষি আইন - সংসদের ভিতরে-বাইরে একজোটে বিজেপি বিরোধিতায় সামিল হয় বিভিন্ন দল।শেষপর্যন্ত নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে বিরোধীরা কতটা জোট বদ্ধ হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।