নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর 'শাহ সাক্ষাৎ'-কে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে রাজনৈতিক মহল। এদিন কেরলের বিষয়ে কথা উঠলেও সেসব সরিয়ে সাংবাদিকদের বাংলাকে তুলে ধরেন শুভেন্দু। কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে রাজ্যের বিরুদ্ধে দিল্লি গিয়ে নালিশ। 'কেন্দ্রীয় টাকা অন্য খাতে খরচের অভিযোগ, সত্যি হলে পদক্ষেপ', কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর দাবি বিরোধী দলনেতার।


সম্প্রতি রাজ্য সফরেও এসেছিলেন অমিত শাহ। এদিকে গত সফরে এসে, দলীয় বৈঠকে ভোটে লক্ষ্যমাত্রাও মেপে দিয়েছেন শাহ। তবে বারবার এসে আদৌ যে কাজের কাজ কিছুই হবে না। মিলবে বড় শূন্য। এমন ভবিষ্যতবাণী তৃণমূলের শীর্ষনের্তৃত্বের মুখে মুখে। গত লোকসভা নির্বাচন তো বটেই, গত একুশের বিধানসভা ভোটেও রণনীতি নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল এবং বিজেপিকেও। একদিকে পিকে-র স্ট্র্যাটেজি প্ল্যানিং এবং পাশাপাশি 'বিজেপির পঞ্চপাণ্ডব' দিয়ে গোটা বাংলার ভোটব্যাঙ্ক খতিয়ে দেখা।


এরপর কে কোথায় দাঁড়াবে, এবং প্রচারে কী মাস্টারস্ট্রোক দেওয়া যায়, তা নিয়েও একটা বড়সড় পদক্ষেপ দেখেছিল বাংলা। সে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক জিততে মাটিতে পাত পেড়ে খাওয়াই হোক, কিংবা রথযাত্রা কোনও কিছুই ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। এবং কম যায়নি ঘাসফুল শিবিরও। যদিও প্রতিটাবারেই সমীক্ষার রিপোর্টকে পিছনে ফেলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে এসেছে রাজ্যে শাসকদল। কিন্তু লোকসভা ভোটেও কি সেই প্রতিফলনই ফিরবে ? তা অবশ্যই বলবে সময়।


সূত্র মারফত খবর, বাংলায় ভোটের রণকৌশল নিয়ে শাহর সঙ্গে কথা হয়েছে শুভেন্দুর। এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গেও সাক্ষাৎ সারেন বাংলার বিরোধী দলনেতা। উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গেও সাক্ষাৎ বাংলার বিরোধী দলনেতার। এদিন এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, 'রাজ্যের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল।' তবে এদিন শুভেন্দু আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে রাখেন। এদিন তিনি সাংবাদিকদের তরফে কেরলকে নিয়ে প্রশ্ন এলেও, তা সরিয়ে বাংলার কথা তুলে ধরেন শুভেন্দু।


আরও পড়ুন, দিল্লি সফর বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী, বললেন..


মূলত তিনি অভিযোগ তোলেন। বলেন, ১৫ তম অর্থ কমিশনের যে টাকা রয়েছে, সেই টাকা পঞ্চায়েত, জেলা পরিষাদ,পৌরসভায় পাঠাচ্ছে কেন্দ্রিয় সরকার। আর এটা দিয়ে বিদ্যুতের বিল মেটানো হচ্ছে। এটার মানে এটাই দাঁড়ায়, কেন্দ্রের টাকা নিয়ে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। একহাতে কেন্দ্রের পাঠানো টাকা, অন্যহাতে বিডিও অফিসের বিদ্যুতের বিল, হেলথ সেন্টার, ল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট-সহ নবান্নেরও ইলেকট্রিক বিল মেটানো হচ্ছে। এরপরে তিনি বলেন, এই টাকা মূলত গ্রামবাংলার উন্নয়ন-সহ ১৫ রকমের কাজের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে হ্যাঁ, একটা ক্লজ আছে সেখানে যে বিদ্যুৎ বিলও মেটানো যাবে। এরপরেই শুভেন্দু বোঝালেন যা, তার অর্থ হল,  আর কোনও খাতেই খরচ না করে কেন্দ্রের পাঠানো টাকার দিয়ে শুধুই বিদ্যুৎ-র বিল মেটাচ্ছে রাজ্য সরকার।'