কলকাতা: ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত? আচার্যের বৈঠকে গরহাজির উপাচার্যদের ব্যাখ্যা তলব রাজ্যপালের।  মূলত আজ ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাজভবনে ডাকেন আচার্য। সূত্রের খবর, বৈঠকে ছিলেন ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাকিরা গরহাজির। রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যরাই মূলত বৈঠকে ছিলেন। এরপরেই বৈঠকে গরহাজির উপাচার্যদের কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।  

আরও পড়ুন, বাঙালিদের হেনস্থার অভিযোগে এবার নিউইয়র্কের NGO-র রিপোর্ট তুলে BJP-কে নিশানা মমতার, 'এটা লজ্জার..' !

অপরাজিতা বিল ফেরতের পর এবার বৈঠকে গরহাজিরায় ব্যাখ্যা তলব রাজ্যপালের। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, 'যাঁরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না, তাঁদের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পেলে সংশ্লিষ্ট উপাচার্যদের রাজভবনে ঢোকা বন্ধ।'মূলত, কেন্দ্রের আপত্তির প্রসঙ্গ তুলে, রাজ্য়ের অপরাজিতা বিল ফেরত পাঠান রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, ফাঁসির সাজা-সহ ৩টি সুপারিশে কেন্দ্রের আপত্তি রয়েছে। তাই, উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য, বিলটি সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে। রাজ্য়ের অপরাজিতা বিল ফেরত পাঠালেন রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস। কেন্দ্রের আপত্তির প্রসঙ্গ তুলে বিল ফেরত পাঠিয়েছেন তিনি।

রাজভবন সূত্রে আরও খবর, এই বিলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর কয়েকটি সংশোধনী সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ রাজভবনকে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।অপরাজিতা বিলের প্রস্তাবিত সংশোধন অনুযায়ী, ধর্ষণের শাস্তি বাড়িয়ে, ন্যূনতম ১০ বছরের জেলের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই পরিবর্তনকে অত্যন্ত কঠোর ও সামঞ্জস্য়হীন বলে মনে করেছে।আরেকটি সংশোধনীতে BNS-এর ৬৫ ধারা বাতিল করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যার ফলে, ১৬ ও ১২ বছরের কম বয়সী মেয়েদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে, শাস্তির ফারাক মুছে যাবে। রাজভবন সূত্রে দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মনে করছে, এমনটা হলে, শাস্তির সমানুপাতিক হার থাকবে না।আর জি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ার পর, এই আলাদা বিল আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।  গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর, বিধানসভায় 'অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল লজ় অ্য়ামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪' পেশ করে রাজ্য সরকার। বিল পাশের জন্য় পাঠানো হয় রাজভবনে। সূত্রের খবর, সেব্য়াপারেই, রাজভবন জানিয়েছেন, নির্যাতিতার মৃত্যু হলে বা সে কোমায় গেলে, ফাঁসির সাজা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই বিলে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই বাধ্য়তামূলক মৃত্য়ুদণ্ডের প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, এসব পর্যবেক্ষণ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে, উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য, বিলটি সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল ২০২৪, রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য় সংরক্ষিত রেখেছেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস।