কলকাতা: পাখির চোখ ছাব্বিশের ভোট। একদিকে সংশোধন জল্পনার মধ্যেই বাংলা নিয়ে হুঙ্কার ছেড়েছেন শুভেন্দু। ঠিক তখনই ফের বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থার অভিযোগে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিউইয়র্কের NGO-র রিপোর্ট তুলে ধরে এবার বিজেপিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, সংশোধন জল্পনার মধ্যেই বাংলা নিয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর, 'এখানে ১ কোটি ২৫ লক্ষ..'
এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'নিউইয়র্কের NGO হিউম্যান রাইটস ওয়াচও বাঙালি হেনস্থার বিষয়টিকে তুলে ধরেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের হেনস্থা ও বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে। আমরা যা বলছি NGO-র রিপোর্টেও সেই তথ্য উঠে এসেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি পরিকল্পিতভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে এসব করছে। এটা লজ্জার, বিজেপিকে আক্রমণ করে পোস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলিও এখন ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ভাষা সন্ত্রাসের কথা বলছে', পোস্ট মমতার।
ভিন রাজ্য়ে বাঙালিদের হেনস্থা, বাংলায় কথা বললেই নির্যাতন। পুলিশি ধরপাকড়। এমন মারাত্মক অভিযোগ ঘিরে উত্তাল রাজ্য়- রাজনীতি। আলোড়িত দেশ। এরইমধ্য়ে হরিয়ানায় বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়েছে ১০ জনকে। হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে দাবি, তাঁদের কাছ থেকে মিলেছে বাংলাদেশের নথি। উল্লেখ্য়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে দেশজুড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর, দিন দশেকের অভিযানে, সে রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫০০ জনকে চিহ্নিত করা হয়। তাদের মধ্য়ে বৈধ পরিচয়পত্র থাকায়, প্রথমে ২৫০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে, আটকরা যে রাজ্য়ের বাসিন্দা, সেই রাজ্য়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে, বৈধ নথি যাচাইয়ের পর, আরও ২৪০ জনকে ছেড়ে দেয় হরিয়ানা পুলিশ। কিন্তু ১০ জনের কোনও বৈধ পরিচয় পত্র মেলেনি বলে দাবি হরিয়ানা পুলিশের। আপাতত তাদের আটক করা হয়েছে। গুরুগ্রাম পুলিশের মুখ্য় জনসংযোগ আধিকারিক সন্দীপ কুমার জানিয়েছেন, আটক ব্য়ক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে, বাংলাদেশি নথি।তাদের সেদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন,আমরা তো এটাই বলছি, এই চিহ্নিতকরণ এদেশের নাগরিকদের জন্য় সুরক্ষিত। যারা এদেশের নয়, তাদের মার্ক করে দেশের বাইরে পাঠানো হবে।