কলকাতা: "বাংলাকে ১১ কোটি টিকার (Vaccine) ডোজ দেওয়া হয়েছে। দেড় হাজার ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়েছে বাংলাকে। ৯ হাজারের বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে।'' চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের (Chittaranjan National Cancer Institute) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধনে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। এদিনের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) Bপ্রধানমন্ত্রীর সামনেই বলেন, কোভিড মোকাবিলায় ৪০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এখনও পায়নি রাজ্য।ক্যাম্পাস উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই পাল্টা পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। 


ভ্যাকসিন নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মিলছে না বলে অভিযোগ শোনা গিয়েছে বহুবার। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সামনেই মেডিক্যালে আসন বাড়ানোর দাবি করেন। একইসঙ্গে ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। এরপরই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অন্ধকার যত ঘন হয়, আলোর মাহাত্ম্য তত বাড়ে। লড়াই যত কঠিন হয়, অস্ত্রের গুরুত্ব তত বাড়ে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলা ১১ কোটি টিকার ডোজ পেয়েছে। কেন্দ্রের থেকে পেয়েছে দেড় হাজার ভেন্টিলেটর। ৯ হাজারের বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে।’’ এর পাশাপাশি মোদি বলেন, “গত ৭ বছরে মেডিক্যালের আসন বেড়েছে ৬০ হাজার। পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা-মুর্শিদাবাদ-বর্ধমান মেডিক্যালে ক্যানসারের চিকিত্সা। ৭০ বছরে যা ডাক্তার দেশে হয়েছে, আগামী ১০ বছরে তা হবে।”


একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে সারা দেশে ১৫০ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। প্রবীণদের ৯০ শতাংশ পেয়েছেন ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ। ইতিমধ্যে দেড় কোটি ১৫ ঊর্ধ্ব পেয়ছে ভ্যাকসিন। বাংলা-সমেত রাজ্যে রাজ্যে ৮ হাজার জন ওষধি কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।এই সব কেন্দ্র থেকে সস্তায় ক্যানসারের ওষুধ বিক্রি হয়। হাঁটু প্রতিস্থাপনের খরচও কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ক্যানসারকে প্রথম অবস্থায় চিহ্নিত করতে স্ক্রিনিং চালানো হচ্ছে। ব্রেস্ট ও সারভাইকাল ক্যানসারকে প্রথম অবস্থায় চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।


আরও পড়ুন: Corona in JNM Hospital Kalyani: কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৭