সুদীপ চক্রবর্তী, চোপড়া (উত্তর দিনাজপুর): অসচেতনতার বলি দুই যুবক। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই যুবকের। রেললাইন থেকে উদ্ধার মোবাইল ফোন, হেডফোন।
গতকাল সন্ধে ৭টা নাগাদ চোপড়ার ধূমডাঙ্গি এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, রেললাইনের ওপর বসে হেডফোনে কথা বলছিলেন দুই যুবক। একইসময়ে আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলে আসার বিষয় আগেভাগে টের না পাওয়ায় তাঁরা সরে যেতে পারেননি। রেলের তরফে বারবার প্রচার সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ যে সচেতন নন, এই ঘটনায় আবারও তা প্রমাণ হল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে রবিবার রাতেই ছুটে আসেন ধুমডাঙ্গি স্টেশনের রেল পুলিশ আধিকারিকরা। রেল লাইনের উপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল দুই যুবকের দেহাংশ। পড়েছিল জুতো, মোবাইল, হেডফোন সহ মোবাইলের অন্যান্য সরঞ্জাম। গতকাল রাতেই দুই যুবকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।গোটা ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রেল কর্মী শশী কুমার জানিয়েছেন, আপ এবং ডাউনে দুটি ট্রেন আসতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও অসচেতনার কারণে এ ধরনের একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কানে হেডফোন দিয়ে কথা বলতে বলতে বা গান শুনতে শুনতে রেল লাইন পেরিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যুর ঘটনা এড়াতে সচেতনামূলক প্রচারও করা হয়। অনেক সময় সেলফি তুলতে গিয়েও দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে সতর্কতা ও সচেতনার অভাবই দুর্ঘটনার কারণ।
এদিকে, সপ্তাহের শুরুতেই মুর্শিদাবাদে বহরমপুর কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে ভিড়ে ঠাসা স্টাফ স্পেশাল ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড়াতেই হুড়োহুড়ির জেরে থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গেলেন এক মহিলা যাত্রী। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন তিনি।সোমবার সকালে লালগোলা থেকে রানাঘাটগামী স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, এদিন ট্রেনে চেপে বহরমপুরে ডাক্তার দেখাতে আসছিলেন রঘুনাথগঞ্জের সাইদাপুরের বাসিন্দা আলিয়ারা বিবি। ট্রেনের মধ্যে ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা। প্ল্যাটফর্মে থাকা অন্যান্য যাত্রীরা মহিলাকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় আরপিএফ।লোকাল ট্রেন বন্ধ। ফলে ভিড় বাড়ছে স্টাফ স্পেশালে। যাত্রীদের অধিকাংশের দাবি, ভিড়ের চাপে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে।