প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ( Bengal Recruitment Scam ) ইডির ( ED ) নজরে এসেছিলেন এক রহস্যময়ী ! ইডি সূত্রে দাবি ছিল, তল্লাশি অভিযানে যাওয়ার আগেই তিনি নাকি অয়ন শীলের মোবাইলে সতর্কবার্তা দিয়ে মেসেজ করেছিলেন। মেসেজে অয়নকে ( Ayan Sheel ) বলা হয়, পালিয়ে যাও। এবার আরেক নারীর নাম উঠে এল এই তদন্তে।
অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন
সল্টলেকে অয়ন শীলের অফিসে মেলা অ্যাকাউন্টের নথিতে শ্বেতা চক্রবর্তী বলে এক মহিলার নাম পাওয়া গেল । ইডি সূত্রে দাবি, শ্বেতা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। এই শ্বেতা চক্রবর্তী অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি, শ্বেতার গাড়ির নথিও অয়নের অফিসে মিলেছে। তাঁর অ্যাকাউন্টে অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকেও লেনদেন হয়েছে বলে দাবি ইডি সূত্রে। কেন তাঁর ব্যাঙ্ক অযাকাউন্টের তথ্য অয়নের অফিসে? তা খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা।
এর আগে যে রহস্যময়ীর নাম উঠে এসেছিল, তার ব্যাপারে ইডি দাবি করেছিল, তিনি ইডি তল্লাশির আগেই অয়নকে মেসেজে জানিয়েছিল, পালিয়ে যাও। জিনিস সরিয়ে দাও। ইডি আসতে পারে। দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের। আর এই মেসেজ দেখেই হতবাক ইডি আধিকারিকরা। কে এই রহস্যময়ী, তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে ইডি। সূত্রের দাবি, এই মেসেজ নিয়ে অয়নকে প্রশ্ন করা হলে বারবার তা এড়িয়ে যাচ্ছেন অয়ন।
আরও পড়ুন -
ভিড়ঠাসা হাওড়া স্টেশনে কোটি টাকার সোনার গয়না, সোনার বাট !
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ মাসে মোট ৭ কোটি টাকা ট্রান্সফার হয়েছিল অয়ন শীলের অ্যাকাউন্টে। আদালতে দাবি করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের আরও দাবি, অয়ন শীলের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ২৫ কোটি টাকা ঢুকেছে! সবমিলিয়ে লেনদেনের অঙ্ক ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার! সেটা কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকা? এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে তদন্তকারীরা।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, নিজের আত্মীয় স্বজন, পরিচারক, অধস্তন কর্মীদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা অন্যত্র সরিয়েছেন অয়ন শীল। সূত্রের দাবি, শুধু তাই নয়, সেই টাকায় একাধিক জমি সম্পত্তিও কিনেছেন।এফডি ব্লকের অফিসে হানা দিয়ে এমন বহু নথি এখন ইডির হাতে। যৌথ মালিকানাতেও কেনা হয়েছে অনেক সম্পত্তি, এমনটাই দাবি ইডি সূত্রে।