সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ( Bengal Recruitment Scam ) কোটি কোটি টাকার লেনদেন! শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Shantanu Banerjee ) অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ মাসে মোট ৭ কোটি টাকা ট্রান্সফার হয়েছিল অয়ন শীলের ( Ayan Sheel ) অ্যাকাউন্টে। আদালতে দাবি করল ইডি ( ED )। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের আরও দাবি, অয়ন শীলের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ২৫ কোটি টাকা ঢুকেছে ! সবমিলিয়ে লেনদেনের অঙ্ক ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার ! সেটা কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকা? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে তদন্তকারী সংস্থা।
কীভাবে টাকা সরিয়েছেন অয়ন?
জানা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডলের ছকেই কালো টাকা সাদা করতেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীল? ইডির হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডির স্ক্যানারে এবার অয়ন শীল ঘনিষ্ঠরা। নিজের আত্মীয় স্বজন, পরিচারক, অধস্তন কর্মীদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা অন্যত্র সরিয়েছেন অয়ন, দাবি ইডি-র ।
আরও পড়ুন :
পথেই কাটছে দিন, লাগাতার আন্দোলন-অনশন, আজ কি হবে বকেয়া DA র সুপ্রিম-ফয়সালা ?
OMR শিট ছাপানো হত কলেজ স্ট্রিটে
সূত্রের দাবি, শুধু তাই নয়, সেই টাকায় একাধিক জমি সম্পত্তিও কিনেছেন অয়ন। যৌথ মালিকানাতেও কেনা হয়েছে অনেক সম্পত্তি, এমনটাই দাবি ইডি সূত্রে । এফডি ব্লকের অফিসে হানা দিয়ে এমন বহু নথি এখন হাতে এসেছে, দাবি তদন্তকারী সংস্থার ।
এছাড়াও তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে উঠে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। উঠে আসছে একের পর একের পর এজেন্টের নাম। কানু দা, লাল, এমডি, তপন নামে ৪ এজেন্ট সহ বেশ কয়েকজন একের পর এক পুরসভায় সুপারিশ করেছে বলে দাবি ইডির।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, OMR শিট ছাপানো হত কলেজ স্ট্রিটের প্রিন্টিং প্রেসে। পুরসভায় পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা থেকে চাকরিতে যোগদান সবাটাই করাতেন অয়ন। একাধিক পুরসভার কাউন্সিলরের অফিসের শ্রমিক পদে চাকরির জন্য OMR শিট উত্তরপত্রের নথি মিলেছে অয়নের অফিসে, দাবি ইডি সূত্রে।
অয়নের সঙ্গে শ্বেতা চক্রবর্তীর যোগ
সল্টলেকে অয়ন শীলের অফিসে মেলা অ্যাকাউন্টের নথিতে শ্বেতা চক্রবর্তী নামে এক মহিলার হদিশ পাওয়া গিয়েছে । ইডি সূত্রে দাবি, শ্বেতা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। এই শ্বেতা চক্রবর্তী অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি, শ্বেতার গাড়ির নথিও অয়নের অফিসে মিলেছে। তাঁর অ্যাকাউন্টে অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকেও লেন দেন হয়েছে বলে দাবি ইডি সূত্রে। কেন তাঁর ব্যাঙ্ক অযাকাউন্টের তথ্য অয়নের অফিসে? তা খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা।