কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ( Partha Chatterjee ) , সুবীরেশ ভট্টাচার্য ( Subiresh Bhattacharya ) , মিডলম্যান প্রসন্ন রায়-সহ ৭ জনকে আজ আলিপুরের বিশেষ সিবিআই (CBI )  আদালতে পেশ করা হল। সোমবারও আদালতে বিস্ফোরক দাবি করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অনেকের নম্বরে কারচুপি হয়েছে।

আদালতে সিবিআই কী জানাল ?


আদালতে সিবিআই-এর দাবি, ' যাঁদের নম্বর বাড়ানো হয়েছে, এমন ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে সিবিআই। ' তখন বিচারপতি বলেন, ' এঁরাও তো দুর্নীতির অংশ, তাহলে গ্রেফতার নয় কেন' । সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে প্রশ্ন করেন বিচারক।

ধৃতদের বয়ান রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে, আদালতে দাবি সিবিআইয়ের। আদালতে পেশ করা কেস ডায়েরিতে সিবিআইয়ের দাবি, টাকা দিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র মিলেছে বলে চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন। 'শূন্যপদের থেকেও বেশি নিয়োগপত্র দেওয়া হয় পার্থর জমানায়। বাড়তি নিয়োগপত্র পিছুও নেওয়া হয় টাকা। ' কেস ডায়েরিতে উল্লেখ সিবিআইয়ের।


সিবিআই সূত্রে খবর, সোমবার পার্থ, সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদ, কল্যাণময়, অশোক সাহা, প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিং, এই ৭ জনের জামিনের বিরোধিতা করবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। তদন্তে উঠে আসা নতুন তথ্যকে হাতিয়ার করেই পার্থ-সহ ৭ জনকে জেল হেফাজতে রেখে ফের জেরা করার অনুমতি চাওয়া হবে। খবর সিবিআই সূত্রে। 


আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ


অন্যদিকে, ধর্মতলায় আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার। ওয়াই চ্যানেলে বসার আগে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে পড়লে, তাঁদের টেনে হিঁচড়ে তুলে দেওয়া হয়।


               


যাঁরা টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়েছেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? CBI-কে প্রশ্ন আদালতের                                                     

অন্যদিকে, একলাসে বসে প্রশ্ন তুললেন, 'কতদিনে শেষ হবে সিবিআই ( CBI ) তদন্ত?’  এর আগে এজলাসে বসেই বিচারপতি সিবিআই-এর কাজের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তের দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী, তৃণমূল বিধায়ক থেকে শিক্ষা-প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক আধিকারিক। কিন্তু এজলাসে সেই বিচারপতিকেই বলতে শোনা গেল,লআমার জীবদ্দশায় আসল অপরাধী ধরা পড়বে বলে তো মনে হয় না। কিন্তু, আসল অপরাধী বলতে কার বা কাদের দিকে ইঙ্গিত করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?