কলকাতা: খসড়া তালিকা প্রকাশের দিনই ধৃত ১৬ জন বাংলাদেশির নাম ভোটার তালিকা থেকে বাতিলের নির্দেশ FPRO-র। জাল তথ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযোগ। খতিয়ে দেখার পরও এঁদের নাম ভোটার তালিকায় তোলা হয়েছে দেখা গেলে শোকজ। বিএলও, ইআরও, এইআরওকে শোকজ করা হতে পারে, কমিশন সূত্রে খবর। নেওয়া হতে পারে কড়া পদক্ষেপ, কমিশন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন, শ্যামপুকুর ও অশোকনগর, ২ জায়গায় নাম থাকার অভিযোগ, এবার ১ জন ভোটারকে শোকজ কমিশনের
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এসআআর প্রক্রিয়া চলাকালীন রাজ্যে ডিজিটাইজেশনের গতি ধীর হওয়ায় বেলেঘাটার ৭ BLO-কে শো-কজ কা হয়েছিল। সংগ্রহ করা ফর্মের ৩০ শতাংশ ডিজিটাইজ করার নির্দেশ ছিল কমিশনের। গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজ হয়েছিল মাত্র ৪ থেকে ৮ শতাংশ , খবর সূত্রের। কেন ঠিকমতো কাজ করতে পারেননি, জানতে চেয়ে BLO-দের জবাব তলব করেছিল কমিশন। সন্তোষজনক জবাব না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
মূলত নির্বাচন কমিশনের নিত্য়নতুন নির্দেশিকা ও ডেডলাইন, সঙ্গে শাসক ও বিরোধীপক্ষের হুমকি-হুঁশিয়ারি, এসবের মধ্য়ে কার্যত হাঁসফাঁস করেছেন BLO-রা। এদিকে, BLO-দের চাপের জন্য়, তৃণমূল সরকারকেই দায়ী করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। BLO-দের OTP শেয়ার করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে.... নির্বাচন কমিশনে এমনই অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল। ব্রেন স্ট্রোক, সেরিব্রাল অ্য়াটাক, আচমকা অসুস্থ, প্রশিক্ষণ চলাকালীন হঠাৎ নথি-পত্র ফেলে কান্নাকাটি করছেন BLO-দের একাংশ। এই প্য়াকেজে ইউজ হয়েছে। এর নেপথ্য়ে কী? কাজের চাপ? অসম্ভব মানসিক চাপ? না কি দুইই? যদিও BLO-রা বলছেন, SIR-এর কাজ করতে গিয়ে এক এক সময় এক একরকম সমস্য়ার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁদেরকে!
যাদবপুরের BLO দেবপ্রসাদ মজুমদারের বক্তব্য় ছিল, BLO-APP-এর সমস্য়ার জন্য়, সারাদিন ফর্ম স্ক্য়ানিংয়ের কাজ তিনি করতেই পারেননি। যাদবপুর BLO দেবপ্রসাদ মজুমদার বলেন, স্ক্য়ানিং-এর ক্ষেত্রে খুব সমস্য়া হচ্ছে। অ্য়াপে স্ক্য়ানিং করা যায়নি। খুব পাজলড আমরা, বলেছিলেন গতমাসে।প্রথমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি, তারপর, পূরণ করা ফর্ম সংগ্রহ, শেষে ভোটারদের সেই তথ্য় তুলতে হচ্ছে BLO অ্য়াপে। কাজের চাপে ডেটা এন্ট্রির সময় অনিচ্ছাকৃত ভুলও হয়ে যাচ্ছে... ।'
যদিও ইতিমধ্যেই খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ গেছে ৫৮ লক্ষের বেশি নাম। যার মধ্য়ে মৃত ভোটার ২৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৮৫২। খোঁজ পাওয়া যায়নি এরকম ভোটারের সংখ্যা ১২ লক্ষ ২০ হাজার ৩৮ জন। ১৯ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৬ জন ভোটার অন্য়ত্র স্থানান্তরিত হয়েছেন। ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৩২৮ জন ডুপ্লিকেট ভোটারের নাম বাদ গেছে। অন্যান্য কারণে বাদ পড়া নামের সংখ্যা ৫৭ হাজার ৬০৪।