কলকাতা: BLO-দের চাপের জন্য়, তৃণমূল সরকারকেই দায়ী করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচন কমিশনকে ট্য়াগ করে, X-পোস্টে তিনি লিখেছেন, তৃণমূল পার্টি ও পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের আঁতাঁতের মুখোশ খুলে গেছে। পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান-সহ বেশ কয়েকটি জেলায়, জেলাশাসকরা তৃণমূলের ফুল টাইম নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। তাঁরা বুথ লেভেল অফিসারদের ওপর অসহনীয় চাপ দিচ্ছেন। BLO-দের বদলি, সাসপেনশন, বেতন কেটে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এবং, TMC-র যারা ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, তাঁদের অফিসিয়াল OTP শেয়ার করতে বাধ্য় করছেন BLO-দের। যাতে, BLO অ্য়াপের অপব্য়বহার করতে পারে তৃণমূল। এটা শুধু সিস্টেমেটিক রিগিং-ই নয়, দিনেদুপুরে গণতন্ত্রের হত্য়া, অভিযোগ বিরোধী দলনেতার।
আরও পড়ুন, 'কেন ঠিকমতো কাজ করতে পারেননি ?', বেলেঘাটার ৭ BLO-কে শো-কজ কমিশনের
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২০০২-এর ভোটার তালিকায় নাম না থাকা নিয়ে যখন উদ্বেগ উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে,তখন ফের শুভেন্দু অধিকারীর মুখে শোনা গেল SIR-এ নাম বাদ যাওয়ার প্রসঙ্গ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আইপ্যাক আর পুলিশ রিপোর্ট করেছে, ১ কোটি ১৫ লক্ষ মতো বাদ যেতে পারে।সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি আতঙ্গে, সেই কারণে ভোটারের নাম বাদ যাবে বলছে...।
রাজ্য জুড়ে SIR চলছে, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজা। কখনও SIR-এর চাপে BLO-র মৃত্যুর অভিযোগ, তো কখনও SIR-এর আতঙ্কে মৃত্যুর অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই আবহেই, এবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে SIR-এর কাজের চাপে BLO-র মৃত্য়ুর অভিযোগ উঠল। আর তা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে এক্স পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন,নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন আরও প্রাণহানির আগে এই অপরিকল্পিত অভিযান বন্ধ করুন।এর পাল্টা, বিস্ফোরক দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, উনি আর ওঁর ভাইপো আর প্রতীক জৈন একটা মিটিং করেছেন, আইপ্যাক আর পুলিশ রিপোর্ট করেছে, ১ কোটি ১৫ লক্ষ মতো বাদ যেতে পারে এবং গেলে ওঁরা জিতবেন না, তারপর নতুন করে পুলিশের তালিকা তৈরি করতে বলেছে, যদি পুলিশকে দিয়ে উদ্ধার পাওয়া যায়, ৭ই ডিসেম্বর নতুন পুলিশের ট্রান্সফার তালিকা তৈরি হচ্ছে, ৭ই ডিসেম্বর বের হবে। ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে SIR..এনুমারেশন ফর্ম পূরণের কাজ চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন, তখন নিশ্চিতভাবে জানা যাবে কার নাম বাদ গেল, আর কার নাম থাকল।