রুমা পাল, আশাবুল হোসেন, কলকাতা : SIR-এর শেষলগ্নে রাজনৈতিক উথালপাতালের মাঝই এবার কমিশনে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করল সিপিএম। কুলপির তৃণমূল নেতার কণ্ঠ বলে দাবি করে, CEO দফতরে গিয়ে একটি অডিও ক্লিপ জমা দিয়ে অভিযোগ জানালেন শমীক লাহিড়ি। যে অডিও ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, মৃত ও স্থানান্তরিত ভোটারের তথ্য কমিশন পর্যন্ত পৌঁছনো আটকাতে কী করতে হবে BLO-দের। 

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, "ভোটের পর, না দিদির মুখে SIR শোনা যাবে, না মোদির মুখে" ! মতুয়াদের মিছিলে হাঁটলেন অধীর

Continues below advertisement

কমিশনে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করল সিপিএম 

ভোট করাবে নির্বাচন কমিশন!আর রাজ্য়ে তার প্রতিনিধি মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিক!এই পরিস্থিতিতে সোমবার CEO অফিসে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করল সিপিএম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য় শমীক লাহিড়ি। কমিশনে অডিও ক্লিপ জমা দিয়ে সিপিএমের অভিযোগ, মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে যাতে বাদ না যায় তার জন্য় মরিয়া চেষ্টা করছে তৃণমূল!

এই অডিও ক্লিপকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে সিপিএম

এই অডিও ক্লিপকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে সিপিএম। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য  শমীক লাহিড়ি বলেন, অডিওতে কুলপি ব্লক, সেই কুলপি ব্লকের কর্মাধ্যক্ষ, তিনি অভিষেক ব্যানার্জির নাম করে বলছেন, কোনও মৃতের কোনও ডেথ সার্টিফিকেট তোমরা জমা দেবে না এটা অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নির্দেশ। এসআইআর প্রসঙ্গে তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশন দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেসও।

'দিদির অ্যাপ'

কংগ্রেস নেতা  আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিভিন্ন জায়গায় এনুমারেশন ফর্মের ছবি তোলা হচ্ছে। একটা বিশেষ অ্যাপ বাজারে চলছে। কেন রাজ্যের শাসক দলের লোকেরা এনুমারেশন ফর্মের ছবি তুলছে আমাদের প্রশ্ন। ওটার নাম হচ্ছে দিদির অ্যাপ। বুঝতে পেরেছেন? ভাল করে খোঁজ নিয়ে দেখুন।  ছবি তুলছে, ছবি তুলে এনুমারেশন ফর্ম সেখানে ঢোকানো হচ্ছে। এলাকায় এলাকায় এটা চলছে। 

ডুপ্লিকেট ভোটারের খোঁজ

সোমবার নবনিযুক্ত স্পেশাল রোল অবজার্ভার সুব্রত গুপ্তর সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্য়ান বলছে, সোমবার সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য় অনুযায়ী, মৃত ভোটারের সংখ্যা ২১ লক্ষ ৪৫ হাজার।৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ভোটারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অন্য়ত্র চলে গেছেন ১৫ লক্ষ ১৩ হাজার ভোটার। ৯৮ হাজার ৬০০ ডুপ্লিকেট ভোটারের খোঁজ মিলেছে। মোট ৪৩ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গেছে।