কলকাতা: তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুরের 'অনুগামী'দের মিছিলে হাঁটলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরি। কিন্তু কেন তৃণমূল সাংসদ গোষ্ঠীর মিছিলে? যদিও এই প্রশ্ন উঠলেও মানবিকতার তত্ত্বই শোনা গিয়েছে অধীরের মুখে। প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের দাবি, রাজনীতিবিদ নয়, মানবিক কারণেই এসেছি।' এদিন মতুয়াদের নিয়েই CEO দফতরের গেলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
"ভোটের পর, না দিদির মুখে SIR শোনা যাবে, না মোদির মুখে" !
অধীর চৌধুরী বলেন, 'যেখানে মতুয়া সম্প্রদায়ের আন্দোলন হয়, যে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়কে, এদের উচিত সহযোগিতা করা। মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটে টিএমসি জেতে। টিএমসি-র এমএলএ হয় মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটে। আবার মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটে জেতে বিজেপি। তো তাঁদের পক্ষ থেকে কিন্তু এই ছোট খাট, এই যে আমি করছি, আমি দেখছি, হাম কিসিসে কম নেহি, এই বাতাবরণ না করে, তাতে কিন্তু জেনুইনলি সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে, আমি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। ..ক্যাম্প করে করে যদি তাঁদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে তাঁদের সমস্যা মিটতে সময় লাগবে না। এখানে কিন্তু মতুয়া এবং SIR-কে কোথাও জুজু, কোথাও ভারতবর্ষের সুরক্ষা, এই দুটোকে গুলিয়ে দিয়ে, মানুষের জিনা হারাম করে দেওয়া হয়েছে। জুজু দেখানো হচ্ছে, থাকবে না , তোমাদের অধিকার। আর এদিকে জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে হচ্ছে। এই দুই মাঝে পড়ে গিয়েছে, এখানকার মানুষ। রাজ্যের অনেক বড় বড় এমপি আছে, লোকসভা , বিধানসভা মিলিয়ে, তাঁরা একবার গিয়ে, গৃহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে, মতুয়া সম্প্রদায়ের সমস্যার সমাধান করতে পারে। এমন কিছু বড় ব্যাপার হবে না, উভয় সরকার এখানে আন্তরিক হয়। মাঝখানটায় ছড়িয়ে আছে অবিশ্বাস আর অবিশ্বাস। ভয়-অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি করে রাখা হচ্ছে, নির্বাচনের রুটি সেঁকে, নির্বাচনী বৈতরণী পার হবার জন্য। যেমনভাবে এনআরসি-র নামে ভোট হয়েছিল, ভোট হয় যাওয়ার পর, না দিদির মুখে এনআরসি শোনা গিয়েছিল, না মোদির মুখে এনআরসি শোনা গিয়েছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার পর না দিদির মুখে SIR শোনা যাবে, না মোদির মুখে SIR শোনা যাবে ! তো SIR টা কার ? SIR টা হল কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের হাতিয়ার।'