কলকাতা: এসআইআর আতঙ্কে ফের আত্মহত্যার অভিযোগ পরিবারের। কাল মেয়েকে বিষ খাইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তরুণী, অভিযোগ পরিবারের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তরুণী। আজ এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু তরুণীর, আশঙ্কাজনক শিশুকন্যা।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, '..আমরা ভুল করেছিলাম', শুভেন্দুর মুখে ফের 'আসল পরিবর্তন'-র ডাক

Continues below advertisement

ধনেখালির তরুণীর বিবাহ হয়েছিল হুগলির হরিপালে, পরে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন ধনেখালিতে। হরিপালে নথি থাকায় ধনেখালির বাড়িতে দেওয়া হয়নি এনুমারেশন ফর্ম, অভিযোগ পরিবারের। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার আশঙ্কায় আত্মহত্যার চেষ্টা তরুণীর, অভিযোগ পরিবারের। এসআইআর আতঙ্কে ভুগছিলেন তরুণী, অভিযোগ তৃণমলের। এসএসকেএমে মৃত্যু তরুণীর, আশঙ্কাজনক শিশুকন্যা। 

SIR-NRC আতঙ্কে বিভিন্ন জায়গায় আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ

পানিহাটি থেকে ইলামবাজার, টিটাগড়...জামালপুর থেকে হাওড়া, মুর্শিদাবাদের কান্দি। SIR-NRC আতঙ্কে বিভিন্ন জায়গায় আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার একই কারণে হুগলির ধনেখালির এক তরুণী ৬ বছরের মেয়েকে বিষ খাইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে,দাবি করেছিল গতকাল তাঁর পরিবার।  তরুণীর দাদা বলেছিলেন, আমাদের এখানে, বাপের বাড়িতে ওর কোনও নথি নেই। নথি শ্বশুর বাড়িতে। ওর যেহেতু এখানকার কোনও নথি নেই, ও পায়নি (এনুমারেশন ফর্ম)। ও যখন দেখছে যে আমাদের সবার হয়ে যাচ্ছে ও জমা দিতে পারছে না, কোনও যেহেতু নথি নেই। ওই আতঙ্কেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা।' তবে শেষ অবধি মৃত্যু হয় ওই তরুণীর।

ধনেখালির বাসিন্দা ২৮ বছরের ওই তরুণীর বিয়ে হয়েছিল হুগলিরই হরিপালে ধনেখালির বাসিন্দা ২৮ বছরের ওই তরুণীর বিয়ে হয়েছিল হুগলিরই হরিপালে। বছর ছয়েক আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে ধনেখালিতে চলে আসেন তিনি।পরিবারের দাবি, তাঁর নথিপত্র সব হরিপালেই রয়েছে।তাই ধনেখালির বাড়িতে তাঁকে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হয়নি। পরিবারের দাবি, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার আশঙ্কায় মেয়েকে বিষ খাইয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তরুণী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় SSKM-এ ভর্তি করা হয়েছিল মা ও মেয়েকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। আজই প্রাণ হারান তিনি।

'ওই যে শুনেছে আমি এই দেশের নাগরিক নয়, আমার যদি নথি না থাকে তাহলে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে'

তরুণীর বাবা বলেছিলেন, SIR ফর্মের জন্য, ওই যে শুনেছে আমি এই দেশের নাগরিক নয়, আমার যদি নথি না থাকে তাহলে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। মেয়েও বলেছিল, তুমি আমার ফর্মটা যদি ওখান থেকে না আনো, আমি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হব। আমি না পাব লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, যেকোনও সুযোগ সুবিধা আমি পাব না। আমাকে তো ভোটার হতে হবে।  এই কারণে ও ভয় খেয়ে সুইসাইড করে ফেলেছে।