কলকাতা: BLO-কে হুমকিকাণ্ডে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে এসে পৌঁছল জেলা নির্বাচনী আধিকারিক ও রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসারের রিপোর্ট। আনন্দপুরের গুলশন কলোনী এলাকার বাসিন্দা গতকাল অভিযোগ করেন, কেউ বা কারা তাঁকে খুনের হুমকি দিচ্ছে। আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন BLO । এই ঘটনায় CEO দফতরে জমা পড়েছে বিস্তারিত রিপোর্ট।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, আটক হুমায়ুনের ছেলে ! 'তাঁকে গ্রেফতার করবে, অনেক নাটক হবে..', বিস্ফোরক অধীর-শমীক

Continues below advertisement

'SIR সংক্রান্ত নথি চাওয়ায় খুনের হুমকি !  মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি'

কসবা বিধানসভা ৩০৩ নম্বর পার্ট BLO  ওয়াসিম আক্রম বলেন, 'গাল দিচ্ছে, ধমকি দিচ্ছে মেরে দেব।বলছে পা-হাত ভেঙে দেব... এরকম। 'SIR সংক্রান্ত নথি চাওয়ায় খুনের হুমকি! এবং মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি থেকে অকথ্য গালাগাল করা। অভিযোগ, এভাবেই নাকি হুমকি-ফোন পাচ্ছেন কসবা বিধানসভার গুলশন কলোনির BLO ওয়াসিম আক্রম। এনিয়ে আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছেন ওই BLO।

 ঝামেলার সূত্রপাত কী থেকে ?

ঘটনা সামনে আসতেই,জেলা নির্বাচনী আধিকারিক ও রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসারের থেকে রিপোর্ট তলব করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। অভিযোগকারী BLO-র দাবি, SIR-সংক্রান্ত নথি চাওয়া নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। অভিযোগ, নোনাডাঙার এক বাসিন্দার কাছে প্রয়োজনীয় নথি চাইলে, তাঁকে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। প্রশ্ন : প্রাণে মেরে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছে? ওয়াসিম আক্রম, BLO, কসবা বিধানসভা : হ্যাঁ। বলছে পা-হাত ভেঙে দেব এরকম।আমি ERO-কে কমপ্লেন করেছি।

প্রশ্ন :কাগজ চেয়েছিলেন বলেই বলেছে? ওয়াসিম আক্রম, BLO, কসবা বিধানসভা : হ্যাঁ। পুলিশের কাছ থেকে প্রোটেকশন চাই। 

কেন এভাবে হুমকি দেওয়া হল BLO-কে? পিছনে কারা রয়েছেন?

কেন এভাবে হুমকি দেওয়া হল BLO-কে? পিছনে কারা রয়েছেন? এই সম্পর্কে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে জমা পড়েছে জোড়া রিপোর্ট। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে জানানো হয়েছে, অনলাইনে আবেদন করে খসড়া ভোটার তালিকায় নাম ওঠার পরও অতিরিক্ত নথি চাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিযুক্ত ভোটার। মোবাইল ফোনে BLO-র সঙ্গে কথোপকথনের সময় ‘সাইবার ক্রাইম’ ও ‘লালবাজার’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করেন অভিযুক্ত। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসারের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২২১, ৩৫২, ১৩২ ও ৩৫১(২) ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে আনন্দপুর থানা।