পূর্ব মেদিনীপুর: আজ 'নন্দীগ্রাম দিবস' উপলক্ষ্যে কালো পতাকা হাতে মিছিল শুভেন্দু অধিকারীর। SIR আবহে BLO-র মৃত্যুতে কাদের কাঠগড়ায় তুললেন বিরোধী দলনেতা ?
এদিন শুভেন্দু বলেন, রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের ১৮তম বর্ষ। ..আমরা আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকে যুক্ত ছিলাম, ৪২ টা মামলা খেয়েছি। আমরা এই দিন এইভাবেই উদযাপন করি। এবং এখানে গড়পল্লিতে, প্রায় কুড়ি হাজারে শান্তিপূর্ণ নিরস্ত্র মিছিলে, চপ্পল পরে, কালো পোশাক পরা, গড়বেতা -কেশপুর থেকে যে হার্মাদ বাহিনী আনা হয়েছিল, তাঁরা অ্যাটাক করেছিল।১১জন অপহৃত হয়েছিল। ..আমরা প্রত্যেকবছরই করি। এখন বর্তমান নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপরে দাঁড়িয়ে, তৃণমূল কংগ্রেসও করে।তাঁরাও স্থানীয় স্তরে নেতাদের দিয়ে করে। তবে যেই বছর নির্বাচন থাকে, সেই বছর ওদের কলকাতা থেকে ওদের পরিযায়ী নেতা আসেন। ..এই আন্দোলনে তৃণমূলও ছিল, বিজেপিও ছিল। এবং লালকৃষ্ণ আডবাণীর অবদান তো অস্বীকার করা যায় না। তিনি তো প্রথম এসে অবরোধ তুলেছিলেন। খেঁজুরির দিকে সব অবরোধ উনিই তুলেছিলেন। গণহত্যার একদিন পরে, উনি (লালকৃষ্ণ আডবাণী), সুষমা স্বরাজ , রাজনাথ সিং , তাঁরাই এসে অবরোধ তুলেছিলেন। লালকৃষ্ণ আডবাণীর নেতৃত্বে, তিনি বিরোধী দলনেতা ছিলেন লোকসভার, ৬২ দিন পার্লামেন্ট বন্ধ ছিল। অতয়েব যেকেউ আসতে পারেন।'
প্রশ্ন : নন্দীগ্রামে SIR প্রক্রিয়া কীরকম চলছে ?
শুভেন্দু অধিকারী: ওই দুই চারটে মুসলিম বুথে ওরা প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।..বাকি এখানে মোর অর লেস ভাল আছে।
প্রশ্ন : একজন BLO মারা গিয়েছেন, চাপের জন্য, এরকম বলা হচ্ছে..
শুভেন্দু অধিকারী: তৃণমূল দিয়েছে, আমরা তো চাপ দেওয়ার পন্থী নই।
একদিকে তৃণমূল, অন্যদিকে বিজেপি। পাশাপাশি দুই মঞ্চ, উপলক্ষ একই। 'নন্দীগ্রাম দিবস' উপলক্ষ্যে গোকুলনগরের করপল্লিতে আলাদা আলাদা করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন কর্মসূচি তৃণমূল ও বিজেপির। 'ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির' ব্যানারে একই জায়গায় পৃথক কর্মসূচি পালন শাসক ও বিরোধী দলের। প্রথম সভাটি করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরের সভায় থাকবেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। ২০০৭-এর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের স্মৃতিতে ১৪ মার্চের পাশাপাশি, ১০ নভেম্বরও, 'নন্দীগ্রাম দিবস' পালন করে 'ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি'। ওই দিনও নন্দীগ্রামে গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। ২ জনের মৃত্যু হয়, ১২ জন নিখোঁজ হন বলে দাবি। সেই ঘটনার স্মরণে পরের বছর থেকেই 'ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির' ব্যানারে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলির আয়োজন করা হয়। তবে শুভেনদু অধিকারীর দল পরিবর্তনের পর থেকেই আলাদা আলাদা ভাবে কর্মসূচি করছে তৃণমূল ও বিজেপি।