সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : SIR আবহে ফাঁকা হয়ে গেছে একটা এলাকা! দক্ষিণ দমদম পুরসভায় তালাবন্ধ একের পর এক ঝুপড়ি। একের পর এক ঝুপড়ি তালাবন্ধ! ঘটনাস্থল দক্ষিণ দমদম পুরসভার হনুমান মন্দিরের কাছে, মেলাবাগান ঝুপড়ি। স্থানীয়দের দাবি, এই ঝুপড়ির বেশিরভাগ বাসিন্দাই বাংলাদেশের নাগরিক। অভিযোগ, বেআইনিভাবে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড-সহ একাধিক পরিচয় পত্র বানিয়েছিলেন তাঁরা। SIR প্রক্রিয়া শুরু হতেই, ঘর তালাবন্ধ করে, এলাকা ছেড়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, 'দম থাকলে কর..' গীতাপাঠ শুরু আগেই ব্রিগেডে বিস্ফোরক দিলীপ !
সম্প্রতি খোঁজ মিলছিল না প্রায় ১৫০জন ভোটারের। SIR আবহে এমনই ঘটনা সামনে আসে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে। ১৫০জন বাংলাদেশি, বিজেপি তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় তুলেছে। চাঞ্চল্যকর তোলে অভিযোগ তৃণমূলের। মিথ্যা অভিযোগ বলে পাল্টা দাবি করে বিজেপি। ফের সেই উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম। SIR আবহে, যেখানে একটা গোটা এলাকাই খালি হয়ে গেছিল, এবার সেই মধ্যমগ্রামেই উধাও প্রায় ১৫০জন ভোটার!! SIR আবহে এমনই আজব ঘটনা সামনে এসেছিল,পশ্চিম খিলকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৩ নম্বর বুথে। স্থানীয়দের দাবি, অন্তত দেড়শোজন ভোটারের হদিশ মিলছে না। ভোটারদের হদিশ না মেলার কথা জানিয়েছেন BLO-ও।মধ্যমগ্রামের নেতাজিপল্লির ৪৩ নম্বর বুথ BLO সুজিত মণ্ডল বলেন, ৪৫০-এর উপর ফর্ম বিলি করেছি। ১৪৫-১৫০টা বিলি করা যায়নি। আমি স্থানীয় বাসিন্দা নই। প্রত্যেককে ভোটার কার্ড দেখে ফর্ম দিয়েছি। + তাদেরকে ঠিকঠাক পাইনি বা ভোটার কার্ড নিয়ে যোগাযোগ করেনি। এখন সেগুলো আমার কাছে আছে। এলে দিয়ে দেব।
কিন্তু কোথায় গেলেন সেই ১৫০জন ভোটার? মারাত্মক অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, যাদের হদিশ মিলছে না, তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিক। বিজেপি তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় তুলে দিয়েছে।বারাসাত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের SC OBC সেল সভাপতি অসিত হালদার বলেন, ২০১৯ সালে, যেহেতু এটা কলোনি এলাকা। বিজেপির খুব বাড়বাড়ন্ত।বিরোধীদের চক্রান্তে আমাদের হিন্দু ভাইরা, চক্রান্ত করে ওদের নাম তোলা হয়েছে বিজেপির মাধ্যমে। বিজেপিরাই এই নামগুলো তুলেছে আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে। তাঁদেরকে খুঁজে পাইনি। আমরা প্রায় ১৫০ লোককে খুঁজে পাইনি।'
SIR চালু হওয়ার পর,এই মধ্যমগ্রামেই ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দারা উধাও হয়ে গেছিলেন। রীতিমতো খাঁ খাঁ করছে এলাকা। কঙ্কালসার বাড়ি ঘর-দোর-উঠোন, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই এলাকার বাসিন্দারা বাংলাদেশে চলে গেছেন।এবার সেই মধ্যমগ্রামেই হদিশ মিলছে না প্রায় ১৫০জন ভোটারের।