পশ্চিম বর্ধমান: কমিশনের ২০০২ সালের তালিকায় গরমিলের অভিযোগ এবার দুর্গাপুরে। কমিশনের পোর্টালে উধাও ৪১ জন ভোটারের নাম, অভিযোগ ভোটারদের। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বি জোনের ভারতী এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। '২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ৪১ জনের নাম ছিল। কমিশনের আপলোড করা ২০০২ সালের তালিকায় নাম নেই ৪১ জনের', নাম না থাকায় আতঙ্কে ৪১ জন ভোটার ও তাঁদের পরিজনরা।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, '২০২৪ বা '২৫-এ যিনি ভোট দিয়েছেন, তাঁর ভোটাধিকার কেন থাকবে না?' এবার SIR-এর পদ্ধতি নিয়ে বড় প্রশ্ন কল্যাণের

Continues below advertisement

রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বিধানসভা এলাকায় 'ভোটার উধাও' । কমিশনের চক্রান্ত, আক্রমণ পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের । আতঙ্ক তৈরির করছে তৃণমূল, পাল্টা বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের। সমস্যা মিটে যাবে, আশ্বাস দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসের। সম্প্রতি কমিশনের আপলোড করা ২০০২-এর ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ উঠেছিল বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভায়। সংগ্রামপুরের দু'টি বুথে ৩৪ জন ভোটারের নাম না থাকার অভিযোগ উঠেছিল।

২০০২ সালে ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোট দিয়েছিলেন, দাবি নাম না থাকা ভোটারদের। কমিশনের আপলোড করা তালিকায় নাম বাদ যাওয়ায় আতঙ্কিত ভোটাররা। বসিরহাটের মহাকুমা শাসক এর কাছে অভিযোগ দায়ের ভোটারদের। কমিশনের আপলোড করা ২০০২ সালের তালিকায় ৮৫৮ জনের নাম, দাবি ভোটারদের। এলাকার বাসিন্দাদের কাছে থাকা কপিতে ৮৯২ জন ভোটারের নাম, দাবি ভোটারদের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল, দাবি BLO-র।

 রাজ্য়ে SIR প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখন বসিরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মাথাচাড়া দেয় ভূতুড়ে ভোটার তরজা। এই নিয়ে ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বিজেপি। পাল্টা উত্তর দেয় তৃণমূল। এলাকায় নেই, তবে ভোটার তালিকায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন!একটা দুটো নয়, এরকম উদাহরণ ভুরি ভুরি। ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন বা SIR নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে,তখন উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মাথাচাড়া দেয় ভূতুড়ে ভোটারের তরজা। একসময় বসিরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু পরিবারের দাবি, বিয়ে হয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে গেছেন এক যুগ আগে! ঠিকানা পরিবর্তন হলেও, ভোটার তালিকায় নামটা রয়ে গেছে!

পরিবারের দাবি, বারবার প্রশাসনকে বলা সত্ত্বেও ব্যবস্থা হয়নি। বসিরহাট বাসিন্দা  অনিলকুমার দত্ত বলেন, ২০১৩ সালে আমার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ও কলকাতার লেবুতলা পার্কে। এখনও এখানে ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। আমরা বারবার বলেছিলাম। ওখানে ওর ভোটার লিস্টে নাম তোলা হয়েছে। আমি চাইছি বসিরহাটের তালিকা থেকে ওর নাম কেটে যাক। ইনি দীপ মুখোপাধ্যায়। বসিরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা। তাঁর দাবি, ১০ বছর হয়ে গেল, পরিবারের দুই সদস্য কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকেন। কিন্তু ভোটার তালিকায় এখনও তাঁদের নাম জ্বলজ্বল করছে!