রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর: বহরমপুরে (Berhampore) তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে আহত হলেন ৫ জন। পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা বলে অনুমান পুলিশের। বহরমপুরের কাঁঠালিয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


রঙের উৎসবে অশান্তি বহরমপুরে: দোলের দিনই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল বহরমপুরে। ভাইরাল হল অশান্তির ভিডিও। যদিও এই ভিডিওর সত্য়তা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।বিজেপির অভিযোগ, সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ আনন্দ উৎসবের মাঝেই তাঁদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল।  আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী রিনা মণ্ডলের অভিযোগ,“আগে তৃণমূল করত এখন বিজেপিতে এসেছে তার জন্য়। হিংসায়। পুলিশ তো কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’’ বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অনামিকা ঘোষের দাবি, “তৃণমূল কংগ্রেসের যে মেম্বার আছে ঝর্না ঘোড়ুই তাঁর স্বামী স্বপন ঘোড়ুই। সে মদ্য়প অবস্থায় তাঁর নেতৃত্বে হামলা চালায় ওই কাঁঠালিয়া গ্রামে। বিজেপি করে বলে মহিলাদেরকে টেনে হিঁচড়ে মেরেছে। বাচ্চাও রেহাই পায়নি।’’

গত ১৬ মার্চ ঘোষণা হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। আর তারপর থেকেই দিকে দিকে অশান্তির ছবি। এবার বহরমপুরে সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল এবং বিজেপি। এই ঘটনায় তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, তাঁদের ওপর আগে চড়াও হয়েছে বিজেপি। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার দখলদারি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির পুরনো বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৫ জন। তৃণমূল এবং বিজোপির তরফ থেকে বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ৩ জনকে।


অন্যদিকে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গোসাবার কুমিরমারীতেও। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, দোলের দিন বিকেলে গাড়ি করে এলাকায় ঘুরছিলেন তাদের কর্মী, সমর্থকরা। গাড়িতে অঞ্চল সভাপতি অঙ্কন মণ্ডল রয়েছেন বলে অনুমান করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা শূন্যে গুলি চালায়। এরপর গাড়ি থামিয়ে অঞ্চল সভাপতির ভাই-সহ তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা গেরুয়া শিবিরের দাবি, এলাকায় পতাকা-ফেস্টুন লাগানোর সময় তাদের কর্মীদের ওপরেই হামলা চালায় তৃণমূল। দু'পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছে সুন্দরবন কোস্টাল থানায়। যদিও এই  ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: Loksabha Election 2024: ছাড়লেন দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, এবার অভিমানী রুদ্রনীল ঘোষ?