শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: ফের বিজেপিতে টিকিট-ক্ষোভ। এবার অভিমানী রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। দোলের দিন ছাড়লেন বিজেপির একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। যদিও আশা হারাচ্ছেন না তিনি।
কী জানালেন রুদ্রনীল?
অভিনেতার দাবি, শুভেচ্ছা-বার্তায় বিরক্ত হয়েই গ্রুপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখনও চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। তাই আশা ছাড়ছেন না রুদ্রনীল। প্রায় ৭৭টি গ্রুপে আমাকে রাখা হয়েছিল, বিজেপিতেই আছি, অফিসিয়াল ১২টি গ্রুপেও আছি, এখনও ছাড়ার ব্যাপারে কোনও আলোচনা হয়নি, দাবি অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের। স্পষ্ট জানিয়েছেন, টিকিট পাবেন আশা করেছিলেন, দল চাইলে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রেও প্রার্থী হতে রাজি আছেন।
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে যেসব চমক দেখা গিয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম রুদ্রনীল ঘোষের বিজেপিতে যোগ। ঘাসফুল শিবির ত্য়াগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। ভোটের ফলাফল বেরনোর পর থেকে অবশ্য রাজনীতিতে রুদ্রনীলের সক্রিয়তা সে ভাবে চোখে পড়ে না। বিজেপি যোগের তিন বছর পর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন অভিনেতা। যদিও টিকিট পাওয়ার বিষয় এখনই আশা ছাড়তে নারাজ তিনি।
এদিন রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, "দলের অফিসিয়াল যে গ্রুপ রয়েছে সেগুলো রেখে বাকি অপ্রয়োজনীয় গ্রুপগুলোতে একই মেসেজ বারবার আসে। দোলের দিন আনন্দের সঙ্গে সেগুলো বিসর্জন দিয়েছি। আমার দলে কারা টিকিট পাবেন বা পাবেন না, সেটা রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁরা ঠিক করেন। এখনও চারটে আসনে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। দল আমাকে নিয়ে কী ভাবছে তার এখনও আলোচনা করার সময় শেষ হয়নি। আমার নিজের আশা থাকবে না, একথা সম্পূর্ণ ভুল।''
এর আগে ২০২২ সালে রুদ্রনীল রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিতে চলেছেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তিনি অভিযোগ তোলেন, বড় বড় পরিচালক এবং প্রযোজকদের দরজা তাঁর সামনে জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, তিনি আরও অভিযোগ করেন ভোটের আগে যাঁরা বিজেপি-তে এসেছিলেন, তাঁদেরও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। কেউ কেউ সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ না পাওয়া নিয়ে সেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছেও অভিযোগ জানান।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।