পূর্ব মেদিনীপুর: ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) যাঁকে ভরসা করে জেলার (district) দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তিনি বিশ্বাসঘাতকতা (traitor) করেছেন’, নাম না করে কাঁথির (contai) সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে (suvendu adhikari) তীব্র আক্রমণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (abhishek banerjee)। বলেন, ‘তখন সকলে ভেবেছিলেন এবার তৃণমূলের কী হবে? কিন্তু দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতায় এনেছেন।' তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের আরও দাবি, হলদিয়ায় তাঁর সভার পরই পরিবর্তন এসেছে। ‘ডিসেম্বরেই মেদিনীপুরের কলঙ্ককে বিতাড়িত করতে হবে’, আরও চ্যালেঞ্জ তাঁর।


আর কী...
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের এই সভা থেকে টানা শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুরের এই বিশ্বাসঘাতককে বাংলার মানুষ ৫০০ বছর মনে রাখবে। ডিসেম্বরে মেদিনীপুরের প্রতি এলাকায় বিশ্বাসঘাতকমুক্ত করতে সভা হবে।’ তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের তীব্র সমালোচনা, ‘কথায় কথায় বলেন, তাঁর পরিবার ব্রিটিশদের তাড়িয়েছে। আর তিনি অমিত শাহের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। যারা ব্রিটিশদের দালালি করেছিল, তাদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন?’ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় যে অশান্তি সে ব্যাপারেও কথা বলেছেন তিনি। অভিষেকের নিজের কথায়, 'ডায়মন্ড হারবারে মিটিং করতে গিয়েছেন। ডেকরেটর সরঞ্জাম দিচ্ছে না। দোষ দিচ্ছে অভিষেককে। ফুটেজ খেতে যাচ্ছেন, কাজ করতে তো যাচ্ছেন না।' তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দাবি, ‘শালীনতা ছাড়িয়ে আমার স্ত্রী, সন্তান, শ্যালিকাকেও আক্রমণ করছেন।’ ওঠে কলেজের গার্লস হস্টেল তৈরিতে বিধি বহির্ভূত ভাবে বেশি খরচ দেখানোর প্রসঙ্গও। অভিষেকের দাবি, 'কলেজের গার্লস হস্টেল তৈরিতে ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার। নিয়মবহির্ভূত ভাবে ৮৫ লক্ষ টাকা বেশি খরচ দেখানো হয়।' তাঁর স্বীকারোক্তি, ‘একটা পরিবারের উপর ভরসা না করে গ্রামে গিয়ে নেতাদের দেখা উচিত ছিল। একটি পরিবারের উপর ভরসা করার জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি।' ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মারিশদায় পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের ইস্তফা দাবি করেন তিনি। সঙ্গে সংযোজন, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকেও ইস্তফা দিতে হবে। দুর্নীতি-প্রশ্নে তৃণমূল যে আপস করে না তা বোঝাতে অভিষেকের বার্তা,'ইডি-সিবিআই যতবার ডেকেছে গিয়েছি, মাথা নত করিনি।’


প্রেক্ষাপট...
আজ রাজ্য রাজনীতির মেগা ডুয়েল। একেবারে সম্মুখ সমরে অভিষেক-শুভেন্দু। শুভেন্দু গড় কাঁথিতে সভা অভিষেকের। বাড়ির সামনে চোর স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের। অন্য দিকে ডায়মন্ড হারবারের লাইট হাউস ময়দানে সভা করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে ঠিক তার আগেই বাধার অভিযোগ উঠল। জোর করে মঞ্চ খুলে দেওয়ার চেষ্টা, চেয়ার ছোড়াছুড়ি থেকে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগে তোলপাড় এলাকায়। কাঠগড়ায় তৃণমূল! বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘটনার ভিডিও ট্যুইট করে অভিযোগ করেন, হাইকোর্ট তাঁর সভায় অনুমতি দেওয়া পরও, তা বানচালের চেষ্টা করছে লুম্পেনবাহিনী!


আরও পড়ুন:'পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে সফল শিল্প বোমা' ভূপতিনগরে বিস্ফোরণ নিয়ে ঝাঁঝালো ট্যুইট শুভেন্দুর