ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর : কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Abhishek Banerjee ) হাইভোল্টেজ সভা আজ। তার আগেই ভূপতিনগরে বিস্ফোরণে উড়ল বাড়ির চাল। উদ্ধার হল তৃণমূলের বুথ সভাপতি সহ ৩জনের ঝলসানো দেহ ! পঞ্চায়েত ভোটের ( Panchayet Poll ) আগে ফের একবার উত্তপ্ত বঙ্গ। বারুদের গন্ধ। এই ঘটনার দায় সরাসরি তৃণমূলের দিকেই ঠেলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় NIA তদন্ত চেয়ে ট্যুইট করলেন শুভেন্দু অধিকারী।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ( Amit Shah ) ট্যাগ করে বিরোধী দলনেতা ( Suvendu Adhikari ) লিখেছেন, 'পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ভূপতিনগরে বিস্ফোরণে উড়ে গেছে তৃণমূলনেতার বাড়ি। তৃণমূলনেতা রাজকুমার মান্না যখন বাড়িতে বোমা তৈরি করছিলেন, তখনই জোরাল বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার NIA তদন্ত দাবি করছি। ' 


বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, 'তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার এবং আরো দু’জন সন্ধেয় জরুরি ভিত্তিতে বোমা তৈরি করছিলেন। কাঁথিতে বোমা ছোড়াই 'ছিল উদ্দেশ্য। পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে সফল শিল্প বোমা যা তৃণমূল নেতাদের ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে।'


আরও পড়ুন : 


জেলা জেলা থেকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর এক নজরে।



এই ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, 'যেখানেই তাকাই হয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ। অথবা  বিস্ফরোণের ঘটনায় তৃণমল নেতার নাম। তারাই প্রধান, তারাই পঞ্চায়েত, তারাই বিধায়ক। তারাই সমাজবিরোধী। এদের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায়না। ' 

পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন কুণাল ঘোষ। শনিবার কাঁথিতে, শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের অদূরে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখান থেকে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সভাস্থলের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। অভিযোগ, গতকাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ভূপতিনগরের অর্জুননগর অঞ্চলের নাড়ুয়া বিরলা গ্রামে বিস্ফোরণ হয়। মৃত ৩ জনের মধ্যে রাজকুমার মান্না তৃণমূলের বুথ সভাপতি। লালু মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন তৃণমূলকর্মী। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে হাফ কিলোমিটার ও দেড় কিলোমিটার দূরে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, মৃতদেহে ঝলসে যাওয়ার ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার মালিক তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না।