সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: রামপুরহাটে (Rampurhat Murder) তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান খুনে অভিযুক্ত দুই নাবালকের জামিনের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করল সিবিআই (CBI)। শুনানি শেষ হয়েছে। রায়দান স্থগিত রেখেছে হাইকোর্ট।


ভাদু খুনে ধৃত নাবালকদের জামিন নিয়ে প্রশ্ন সিবিআই-এর


রামপুরহাটের বগটুই (Bogtui Case) গ্রামে তৃণমূলের উপপ্রধান খুনে দুই নাবালকের জামিনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে মামলা করল CBI। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসও। তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে ওই দুই নাবালককে গ্রেফতার করা হয়। পরে নিম্ন আদালত থেকে দুই অভিযুক্ত নাবালক জামিন পায়।


এর বিরোধিতা করে নিম্ন আদালতে যায় CBI। CBI-এর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এর পরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় CBI। আদালতে CBI-এর আইনজীবী বলেন, "জামিনের কারণ হিসেবে নাবালক কি না, তা না বলে টোটো ড্রাইভার বলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেস ডায়েরি ছাড়াই, প্রথম দিনেই জামিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি জামিনের কপিও দেওয়া হয়নি।"


আরও পড়ুন: Sougata on Mamata : "মমতা আমাদের নেত্রী আছেন, ছিলেন, অনেকদিন থাকবেন", অভিষেক-প্রসঙ্গে কী বললেন সৌগত ?


CBI-এর আইনজীবী আরও বলেন, "এরা বাইরে থাকলে হুমকি দিতে পারে। এদের জামিন বাতিল করা হোক"। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়েছে। রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছে হাইকোর্ট।


এর আগে, তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন (Bhadu Sheikh Murder) এবং রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডকলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। দুই নাবালকের জুভেনাইল কোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার উল্লেখ করে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, কেস ডায়েরি না দেখে, সিবিআইয়ের মতামত না নিয়ে দুই নাবালককে জামিন দেওয়া হয়েছে। ওই দুই নাবালকের মধ্যে একজনের নাম মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে রয়েছে বলে দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। নাবালকদের জামিন খারিজের আবেদন জানানো হয়। এর পর আদালত সিবিআইকে কেস ডায়েরি জমা দিতে বলে। 


রাস্তার ধারে বোমা মেরে খুন করা হয় ভাদুকে


ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের সিসিটিভি ফুটেজ, যেখানে দেখা যাচ্ছে, বগটুই মোড়ে তাঁর ওপর হামলার মুহূর্তের সময় স্কুটারের ওপরে বসে ফোনে কথা বলছিলেন তৃণমূলের উপপ্রধান। সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির সদস্যরা সেই স্কুটার পরীক্ষা করে দেখেন। CBI-এর দাবি, স্কুটারে কোনও নম্বর প্লেট ছিল না। এমনকি স্কুটারটির কোনও নথিও মেলেনি।