হিন্দোল দে ও ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ঘোষণা হয়েছিল আগেই। সেই মতো নতুন বছরেই কলকাতা পুলিশের আওতায় আসতে চলেছে ভাঙড় (Bhangar News)। লালবাজার সূত্রে খবর, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ভাঙড়, চন্দনেশ্বর, উত্তর কাশীপুর, পোলেরহাট থানার উদ্বোধন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে ভাঙড়ে গিয়ে নতুন থানাগুলির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। (Vineet Goyal)


নতুন বছরে ভাঙড়বাসীর জন্য উপহার। কলকাতা পুলিশের আওতায় আসতে চলেছে ভাঙড়ের চারটি থানা। তার আগে রবিবার ভাঙড়, চন্দনেশ্বর, উত্তর কাশীপুর েবং পোলেরহাট,  নতুন এই চারটি থানা পরিদর্শন করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তাঁর সঙ্গে সেখানে ছিলেন জয়েন্ট সিপি ট্রাফিক, জয়েন্ট সিপি হেডকোয়ার্টার, বারুইপুর জেলার এসপি এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। (Kolkata News)


পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে হিংসার জন্য ইদানীং কালে বার বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে ভাঙড়। দফায় দফায় অশান্তি ছড়িয়েছিল সেখানে, যাতে প্রাণ হারান সাত জন। বোমা-গুলিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সেই আবহেই গত  ২৬ জুন কলকাতা পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত করার জন্য কমিশনার গোয়েলকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


আরও পড়ুন: Mohan Bhagwat: ভোটের আগে বঙ্গসফরে ভাগবত, ভিক্টর-বিক্রমের সঙ্গে সাক্ষাৎ, দেখা করলেন একদা মমতা-ঘনিষ্ঠের সঙ্গেও


সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বারুইপুর পুলিশ জেলার কাশীপুর থানা ভেঙে উত্তর কাশীপুর এবং পোলেরহাট এবং ভাঙড় থানা ভেঙে ভাঙড় ও চন্দনেশ্বর থানা গড়ার।
সেই মতোই নতুন বছরের শুরুতে ভাঙড়ের চারটি থানা আনুষ্ঠানিকভাবে আসতে চলেছে কলকাতা পুলিশের অধীনে। লালবাজার সূত্রে খবর, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উত্তর কাশীপুর, ভাঙড়, পোলেরহাট এবং চন্দনেশ্বর থানা উদ্বোধন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।


তার আগে এলাকার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার গোয়েল। তিনি বলেন, "বছরের শুরুতেই কলকাতা পুলিশের আওতায় আসছে ভাঙড়। আমরা গোটা বিষয়টি দেখতে এসেছি। ম্যাডাম উদ্বোধন করবেন। চারটি থানার কত দ্রুত উদ্বোধন করা যায় দেখা হচ্ছে।" ইতিমধ্যেই ভাঙড়ে তৈরি হয়েছে কলকাতা পুলিশের নতুন ট্রাফিক গার্ড। পাশাপাশি ভাঙড়ের নলমুড়িতে তৈরি করা হয়েছে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের অফিস। রবিবার সেই অফিসও পরিদর্শনে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার।


যদিও কলকাতার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরও ভাঙড়ে শান্তি ফিরবে কিনা, সে ব্যাপারে সন্দিহান অনেকেই। এমনকি বাঙড়ে শান্তি ফেরানো কলকাতা পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।